চীনের দুঃখ যেমন হোয়াংহো নদী, তেমনি বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের দুঃখ ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড। প্রতি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে এ নিয়ে আলোচনা হয়। গত বছর অক্টোবরে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড দ্রুত সময়ে সচলের আশ্বাস দিয়েছিলেন। 

সেই আশ্বাসের পরেও পাঁচ মাস পর আবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে হ্যান্ডটাইমিংয়ে হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন আজ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড সচলের দ্রুত আশ্বাস দিলেন, ‘আমি দায়িত্ব পেয়েছি সম্প্রতি। বিষয়টির ব্যাপারে অবগত রয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটিও করা হয়েছে। সারওয়ার (পরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ) বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আশা করি ১৫ দিনের মধ্যে এই বিষয়টি সমাধান হবে।’

সচিবের বক্তব্যে আশ্বস্ত সাঁতার ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল শাহীন ইকবাল, ‘ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সাঁতার ফেডারেশনকে সব সময় সহায়তা করে। আমরা আশাবাদী ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড খুব দ্রুতই সচল হবে।’ ফেডারেশনের অন্যতম সহ-সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর নিজেই মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনিও স্কোরবোর্ড নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন, ‘১৫ দিন না হলেও আমরা আশা করি পরবর্তী প্রতিযোগিতার আগেই ইলেকট্রনিক বোর্ডে খেলা হবে। সচল করার প্রক্রিয়ায় মেকানিকাল বিষয়ে কোনো সহায়তা লাগলে আমার পক্ষ থেকে দেয়া সম্ভব হবে।’ 

জাতীয় সাঁতারে এবার ১৮ রেকর্ড হয়েছে। সেই রেকর্ ধারীর অনেকেই সেরা ‘সাঁতারু’ থেকে উঠে আসা। সামনে আবার এ রকম একটি প্রতিভা অন্বেষণের পরিকল্পনা ফেডারেশনের, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে ১৪ জন সাঁতারুর দায়িত্ব নেয়া হয়েছে। এছাড়া জাতীয় দলের ক্যাম্প চলছে। সেই ক্যাম্প অব্যাহত রাখাই এখন আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা। সামনের বছর অথবা এর পরের বছর আবার প্রতিভা অন্বেষণের পরিকল্পনা রয়েছে’-বলেন ফেডারেশনের সভাপতি। রেকর্ডজয়ীরা ফেডারেশন থেকে পুরস্কৃত হয়েছেন। সর্বোচ্চ সংখ্যক পদক জিতে নৌবাহিনী জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

এজেড/এনইউ