ফুটবল, হকি ছাড়া দেশের অধিকাংশ ফেডারেশনের নির্বাচনী উত্তাপ তেমনটা হয় না। এবার বক্সিং ফেডারেশনের নির্বাচনের হাওয়া কিছুটা বয়েছিল। ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস ১২ কাউন্সিলরশীপের উপর আপত্তি দিয়েছিলেন। সেই আপত্তি যাচাই বাছাই করে এনএসসি ৬টি কাউন্সিলরশিপ বাদ দেয়। 

কাউন্সিলরশিপের উপর আপত্তি করলেও কুদ্দুস নির্বাচনের জন্য প্যানেল দেননি। ফলে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিনের নেতৃত্বাধীন প্যানেলেই নির্বাচিত হওয়ার অপেক্ষায়। কাল প্রথম দিনেই ৩০টি মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন মাজহারুল ইসলাম তুহিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ক্ষমতাসীনরা। 

আজ বুধবার মনোনয়নপত্র ক্রয়ের দ্বিতীয় দিন বিক্রি হয়েছে আরো দু’টি ফরম। কার্যনির্বাহী কমিটির ২৪ পদের বিপরীতে ৩২ মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। ১৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিল, পরদিন বাছাই, ১৯ এপ্রিল আপত্তি, পরদিন শুনানি, ২১ এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ। ২৬ এপ্রিল নির্বাচন। সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস প্যানেল না দেওয়ায় প্রায় সব পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাশ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 
 
কাউন্সিলর নিয়ে কুদ্দুসের করা ১২ আপত্তির ৬টির সত্যতা পেয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। রংপুর সিটি করপোরেশন, খুলনা সিটি করপোরেশন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন, কুষ্টিয়া পৌরসভা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা ও যশোর পৌরসভার কাউন্সিলরশিপ বাতিল করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাচন কমিশন। সংস্থায় না থাকলেও তারা কাউন্সিলর হয়েছিলেন। ফলে নির্বাচনী গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বাতিল হয় তাদের ভোটাধিকার। এই ৬টি সংস্থা বাদ পড়ায় চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা দাড়ায় ৯০ থেকে ৮৪। ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনা ছিল, কুদ্দুস গতবারের মতো এবারও নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হবেন। গত নির্বাচনে কুদ্দুসকে হারিয়ে তুহিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। 

এজেড/এটি/এনইউ