জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জট খোলার আশ্বাস
দেশের অন্য সকল পুরস্কার নিয়মিতভাবে প্রদান হলেও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার অনিয়মিত। ছয় বছর পর আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই অনুষ্ঠান। প্রায় অর্ধযুগ পর এই অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হবেন আট বছর আগের জন্য মনোনীতরা।
২০১৯ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। তার দায়িত্ব নেয়ার ছয় বছর আগের সময়ের পুরস্কার প্রদান তাকে দিতে হচ্ছে। তার সময়ে পুরস্কার হালনাগাদ করার কথা বলেছেন আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন, ‘আসলে অনেকে অপেক্ষায় ছিলেন পুরস্কারের জন্য। ইতোমধ্যে অনেকে পৃথিবী ছেড়ে চলেও গেছেন পুরস্কারের আগেই। আগের মেয়াদের পুরস্কারের সঙ্গে আমার দুই বছরের পুরস্কার একসঙ্গে প্রদান করছি। আগামী বছরগুলোর কাজও শুরু করছি।’
বিজ্ঞাপন
আট বছরের পুরস্কার এক সঙ্গে হওয়ায় অনেক প্রশ্ন ছিল মনোনয়ন প্রক্রিয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের জন্য দেয়া হয় এই পুরস্কার। অনেক ব্যক্তি জাতীয় দলে বেশি সময় না খেলেও পুরস্কার পাচ্ছেন, আবার একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ভুল তথ্য দেয়ার। এ রকম আরো অনেক প্রশ্ন হয় অসঙ্গতি নিয়ে।
এই সকল বিষয়ে মন্ত্রীর ভাষ্য, ‘ফেডারেশনগুলো থেকে নাম আসে। সেই নামের ভিত্তিতেই মন্ত্রণালয় কাজ করে থাকি। তাছাড়া ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গও থাকেন কমিটিতে।’
বিজ্ঞাপন
আগামীতে এই বিষয়টি আরো পরিশীলিত করার চিন্তাভাবনা রয়েছে তার, ‘জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার মন্ত্রিপরিষদ সভায় অনুমোদিত একটি পুরস্কার। এর নীতিমালা বা কোনো বিষয় পরিবর্তন, সংযোজন-বিয়োজন করতে হলে মন্ত্রীপরিষদ সভার মাধ্যমে করতে হবে। ’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার মাঝে অনিয়মিত ছিল। জাহিদ আহসান রাসেল শেখ কামালের নামে সেই পুরস্কারটি পুনরায় চালু করেছেন। সেই পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা আবার জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের অর্থমূল্যও এক লাখ টাকা। এই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে এক লাখ টাকার পাশাপাশি স্বর্ণও রয়েছে যেটা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে নেই। এরপরও এই পুরস্কারের অর্থ বৃদ্ধির বিষয়টি মন্ত্রীপরিষদ সভায় তুলব আগামীতে।’
এজেড/এনইউ/এটি