মহাদেশীয় পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রথম পদক আসে বক্সিং থেকে। ১৯৮৬ সিউল এশিয়ান গেমসে বক্সার মোশাররফ হোসেন ব্রোঞ্জ জেতেন। তিন যুগে এশিয়া মহাদেশীয় আসরে পদক জয় করা খেলাটি এখন নতুন করে আলোচনায়।

অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে পেশাদার বক্সিং। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ এই বক্সিং আয়োজন করে। প্রতিবেশী ভারত-নেপাল থেকেও বক্সার ছিলেন। প্রথম আসর ও তড়িঘড়ি আয়োজন করায় বক্সারের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। এরপরও অভিষেক আসরে বাংলাদেশের দুই বক্সার আল আমিন ও সুর কৃষ্ণ চাকমা পেশাদার অঙ্গনে বাংলাদেশকে এই পথে নতুন আলো দেখাচ্ছেন। দুই জনই পেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতায় ভিন্ন ভিন্ন ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

প্রথম পেশাদার বক্সিং আয়োজনে তাদের এই সাফল্যে ক্রীড়াঙ্গনে সাড়া ফেলেছে বেশ। অন্য খেলার তারকারাও এই দুই জনের পারফরম্যান্সে খুবই উচ্ছ্বসিত। সুর কৃষ্ণ চাকমা যেন এই ক্ষণের অপেক্ষায় ছিলেন, ‘পেশাদার বক্সিং আয়োজনের পর সবার অনেক মেসেজ, কল ও ভালোবাসা পাচ্ছি। খুবই ভালো লাগছে।’

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন। বক্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ে বেশ তৃপ্ত এখন এই বক্সার, ‘বক্সিং একটি আকর্ষণীয় খেলা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্য খেলার চেয়ে সুযোগ সুবিধা কম থাকলেও বক্সাররাও যে মেধাবী সেটার প্রমাণ আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেখেছি।’

বাংলাদেশে ফেডারেশনের অধীনে হয় অ্যামেচার বক্সিং। ফেডারেশনের বাইরে বক্সিং ফাউন্ডেশন এই পেশাদার বক্সিং আয়োজন করেছে। পেশাদার বক্সিং একটু ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এই প্রতিযোগিতা থেকে বক্সাররা অর্থ পান।

আরও পড়ুন >>> বক্সিংয়ের এক ‘ঐতিহাসিক’ রাত

এজেড/এটি/এইচএমএ