সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অনেকেই ভারতের মাদার তেরেসা পদক পেয়েছেন। ক্রীড়া সংগঠক তরফদার রুহুল আমিন ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য গত মাসের ২৬ আগস্ট তিনি এই পদক কলকাতায় গ্রহণ করেন। তার মাদার তেরেসা পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষ্যে আজ পল্টনস্থ হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে ক্রীড়াঙ্গনের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। 

জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ফোরাম তরফদার রুহুল আমিনের আন্তর্জাতিক পদক প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে এক সংবধর্না অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ফেডারেশন,জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা সহ বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত হয়ে তাকে অভিবাদন জানান। সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বেশ উচ্ছ্বসিত তরফদার রুহুল আমিন, ‘আজকের অনুষ্ঠান আয়োজন দেখে সত্যিই আমি অভিভূত, আনন্দিত। আজকে ক্রীড়াঙ্গন কিন্তু এক জায়গাতে এসে দাঁড়িয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘদিন ধরে খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি এবং আজকের যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আমাকে যে মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে আসলে এই অ্যাওয়ার্ড আমার একার না। আপনাদের সকলের, বাঙালি জাতির অ্যাওয়ার্ড এটা। আমি শুধু এটা ভারত থেকে বহন করে নিয়ে এসেছি মাত্র। বাঙালি জাতি এটার জন্য গর্বিত।’

মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ডটি তিনি শেখ কামালকে উৎসর্গ করে বলেন, ‘আমি যে সম্মাননা পেয়েছি মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক পুরস্কার এটা আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের রূপকার ক্রীড়া সংগঠক ক্যাপ্টেন শহীদ শেখ কামালকে এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি। যেদিন আমি এই পুরস্কার পেয়েছি সেদিনই আমার মনের মধ্যে এটা ছিল যে পুরস্কারটি ক্যাপ্টেন শেখ কামালকে উৎসর্গ করব।’

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজক ফেডারেশন ফোরামের সভাপতি আসাদুজ্জামান কোহিনূর বলেন, ‘মাদার তেরেসা কোনো ছোট পুরস্কার নয়। এটা আন্তর্জাতিক পুরস্কার। এটার গুরুত্ব অনেক। আজকের অনুষ্ঠান একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকবে।’ তরফদার রুহুল আমিনের এই অর্জনে গর্বিত বাংলাদেশ সাতার ফেডারেশন.‘ আমিন ভাইয়ের আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমরা গর্বিত। আমাদের সুইমিং ফেডারেশনের জন্য উনি অনেক কাজ করেছেন। তার কারণেই সুইমিংয়ে তৃণমূলে অনেক কাজ হয়েছে।’

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা আজকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন। তিনি ফেডারেশন ফোরামকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতির জন্য তরফদার রুহুল আমিন নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন ফেডারেশনের জন্য কাজ করছেন। ওনি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) একজন কাউন্সিলর। এটা যেমন ক্রীড়াঙ্গনের জন্য; তেমনি আমাদের বিওএ’র জন্যও গর্বের।’ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন মোঃ আলমগীর। 

এজেড/এটি