ফাইল ছবি

দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে রেকর্ডধারী স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। প্রায় দুই দশক পুলে কাটিয়েছেন। এখন জীবনের বাকি সময় সাঁতারের সঙ্গে কোচ হিসেবেই কাটাতে চান। 

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কাজও শুরু করেছেন স্বর্ণজয়ী সাতারু। কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরুর দিকেই আন্তর্জাতিক সাঁতার ফেডারেশনের কোচিং কোর্স পেয়েছেন। দিন তিনেক আগে বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় ফিনার সেই কোর্স সম্পন্ন হয়েছে। 

মাত্র দিন তিনেকের হলেও এই কোর্স শিলাকে অনুপ্রাণিত করেছে অনেক, ‘সাঁতার আমাকে আজকের শিলা বানিয়েছে। আমিও সাঁতার ও দেশকে আরো কিছু দিতে চাই। আমার লক্ষ্য আরেকজন শিলা তৈরি করতে চাই। আরেকজন শিলা তৈরি করতে পারলে সেটাই হবে আমার স্বার্থকতা।’

তিন দিনের এই কোর্স তাত্ত্বিক দিকের পাশাপাশি ব্যবহারিকও ছিল সমানভাবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স করা শিলা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর করা মাহফিজুর রহমান সাগর বিশেষভাবে উপভোগ করেছেন এই কোর্স। 

অলিম্পিকের বৃত্তিতে থাইল্যান্ডে থাকাবস্থায় সাগরের কোচ ছিলেন মিগুয়েল লোপেজ। আগের গুরুকে এখন নতুন রুপে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন দেশসেরা সাঁতারু। এই কোর্স নবীনদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সাবেক সাতারু নিবেদিতা দাস, ‘এই কোর্সে অভিজ্ঞরাও ছিল আবার সাগর, অনীক, শিলার মতো তরুণরাও ছিল যারা কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করবে। প্রথমেই এই কৌশলগুলো ওরা জানায় তরুণদের সঠিক জিনিষ শেখাতে পারবে।’

বাংলাদেশের সাঁতারে অভিজ্ঞ কোচ আব্দুল হামিদ। ২০ জন কোর্সকারীদের মধ্যে তিনিও একজন। পাতিয়ালা ও কোচিংয়ের অন্য ডিগ্রি থাকলেও এই কোর্সে উপকৃত হয়েছেন তিনিও, ‘আমাদের ট্রেইনার ছিলেন অত্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের। একজন সাঁতারু কি ভুলগুলো করেন, কিভাবে শুধরাতে হয় সবই তিনি ভিডিওয়ের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন। আমরা অনেকেই আগে এগুলো জানলেও সর্বাধুনিক ট্যাকনিকগুলো সম্পর্কে অবহিত হলাম।’

তিন দিন খুবই স্বল্প সময়। এ রকম কোর্স অন্তত দিন পনেরো হলে আরো বেশি কার্যকর হবে বলে ধারণা অংশগ্রহণকারী সকলের। এরপরও দুই বার অলিম্পিকে অংশ নেয়া সাতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ফেডারেশনকে ধন্যবাদ দিলেন, ‘ফিনার সভাপতি সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছিলেন। ফেডারেশন ফিনার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে এই কোর্স আয়োজন করেছে। সাধারণ সম্পাদককে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই তরুণ সাঁতারুদেরও এই কোর্সে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ায়।’

এজেড/