ছবি: সংগৃহীত

ক্রীড়াঙ্গনের অতি প্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন রফিকুল ইসলাম টিপু। সম্প্রতি তিনি মস্তিষ্ক রক্তক্ষরণে ইন্তেকাল করেছেন। তার স্মরণে আজ হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে এক স্মরণসভার আয়োজন করে জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ফোরাম।  

ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ স্থানীয় সকল সংগঠকই টিপুর স্মরণসভায় এসেছিলেন। দাবা ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে টিপুর ছিল গভীর সম্পর্ক। সুজা টিপুকে স্মরণ করতে গিয়ে বলেন, 'টিপুর মতো নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক ক্রীড়াঙ্গনে বিরল। টিপু ক্রীড়াঙ্গনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।'

জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ফোরামের সভাপতি ও হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনূরের সঙ্গে চার দশকের বেশি সম্পর্ক টিপুর। তিনি টিপুকে স্মরণ করলেন এভাবে, 'আমাদের সবারই কম বেশি শত্রু রয়েছে। টিপু ভাই একমাত্র ব্যক্তি যার সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা নেই।’ টিপুর স্মরণসভায় অনেক লোকের সমাগমের প্রত্যাশা ছিল। প্রত্যাশিত তুলনায় সংখ্যা কিছুটা কম হওয়ায় খানিকটা হতাশাও ব্যক্ত করেছেন ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, 'টিপু ভাইয়ের মতো ব্যক্তির স্মরণসভায় উপস্থিতি কাঙ্খিতমাত্রায় না হলে আমাদের মতো মানুষদের ক্ষেত্রে কি হবে সেটা সহজেই অনুমেয়।’

টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন রফিকুল ইসলাম টিপু। আজকের স্মরণসভায় টেবিল টেনিস অঙ্গনের কেউ ছিলেন না। এই বিষয়টি অনেকেই আলোকপাত করেছেন। চট্টগ্রামে জাতীয় টেবিল টেনিস হওয়ায় অনেকে সেখানে অবস্থান করছেন। টেবিল টেনিস ফেডারেশন এবং জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের মধ্যে সমন্বয়হীনতাও ফুটে উঠেছে এর মধ্য দিয়ে। 

স্টেডিয়াম এলাকায় মিলাদ-দোয়া মাহফিলে স্টেডিয়াম মসজিদের ইমামকে ডেকে আনতেন টিপু। স্টেডিয়াম মসজিদের ইমামও টিপুকে বিশেষভাবে স্মরণ করলেন, 'জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মসজিদে আমার চাকরি ২৭ বছরের। তার সঙ্গে আমার এত দিনের সম্পর্ক। ওয়াক্ত নামাজ শেষে আমার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি মসজিদ ত্যাগ করতেন। তার আমন্ত্রণে ক্রীড়াঙ্গনে কত মিলাদ, জানাজা পড়িয়েছি আজ তার স্মরণসভায় দোয়া পড়ছি।’  

ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত স্মরণসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন টিপুর ছোট ভাই তারিক ইসলাম বাপ্পা। তিনি এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ, আমার ভাইয়ের জন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। আমাদের জন্য দোয়া করবেন এবং পাশে থাকবেন।' 

এজেড/এইচজেএস