মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি নিয়ে ক্ষোভ, ‘বিতর্ক’
ফুটবল, ক্রিকেট বাদে বাকি সকল ফেডারেশন/এসোসিয়েশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। শুধু মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি দীর্ঘদিন আটকে ছিল। ক্রীড়াঙ্গনের বিশেষ কৌতুহল ছিল মহিলা ক্রীড়া সংস্থা নিয়ে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আজ ১৯ সদস্য মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি প্রকাশ করেছে। এই কমিটি নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে চলছে সমালোচনা ও বিতর্ক।
মহিলা ক্রীড়া সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে অর্ধযুগের বেশি সময় কাজ করছেন ফিরোজা করিম নেলী। তাকেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাখা হয়েছে। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে সারওয়াত সিরাজ (শুক্লা)। তার পরিচিতি হিসেবে লেখা হয়েছে সিনিয়র আইনজীবী ও ক্রীড়ানুরাগী। অথচ ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট কেউই তাকে চেনেন না সেভাবে।
বিজ্ঞাপন
ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সার্চ কমিটি গঠন করেছিল। সেই সার্চ কমিটি বিভিন্ন ফেডারশেন/এসোসিয়েশনের অ্যাডহক কমিটির প্রস্তাবনা দিয়েছিল। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়/জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সেটা অনুমোদন দেয়। মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি নিয়ে সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা বলেন, 'এই কমিটি আমাদের প্রস্তাবিত ছিল না। বিশেষ করে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ আরো কয়েকটি পদে ব্যাপক রদবদল করেছে। স্পষ্টভাবে বলতে গেলে এই কমিটি আমাদের নয়। রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে যারা বিগত কমিটিতে এসেছিলেন। তাদের আমরা রাখিনি। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে আগের কমিটির সেক্রেটারি বহাল রয়েছেন।'
সার্চ কমিটির আরেক সদস্য মেজর ইমরোজ আহমেদ (অব) কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াগত ত্রুুটি নিয়ে বলেন, 'ডিসেম্বর মাসে আমরা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি জমা দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে মার্চ মাসে নগর ভবনে আলোচনার মাধ্যমে কমিটি গঠন চূড়ান্ত হয়। সেই কমিটি সাত মাস পর প্রকাশ করল এবং সেখানে অনেক গড়মিল। শুটিং ফেডারেশনের কমিটিতেও একই কাজ হয়েছে।'
বিজ্ঞাপন
সার্চ কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য দুই জনই আফসোসের সুরে বলেন, 'শুটিং ফেডারেশনের কমিটিতে আমরা কমনওয়েলথে স্বর্নপদকজয়ী শুটার আসিফ হোসেন খানকে রেখেছিলাম। প্রকাশিত তালিকায় তিনি বাদ পড়েছেন। মহিলা ক্রীড়া সংস্থায় কামরুন নাহার ডানা, জোবেরা রহমান লিনুর মতো ব্যক্তিত্ব নেই। এটা আসলে দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।'
ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ও বিশিষ্ট সংগঠক কামরুন নাহার ডানা। তিনি মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'ক্রীড়াঙ্গনে অনেক নারী ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা সভাপতি হওয়ার মতো যোগ্যতা রাখেন। অথচ আইন অঙ্গনের একজনকে এখানে আনা হয়েছে। এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। উপদেষ্টার কাছে আমার বিনীত প্রশ্ন রাজনীতিমুক্ত ক্রীড়াঙ্গন গড়ার প্রত্যয় তিনি ব্যক্ত করেছেন কিন্তু যারা রাজনৈতিক প্রভাবে এসেছিলেন তারা ঠিকই রয়ে গেলেন কিভাবে?'
১৯ সদস্যের কমিটির মধ্যে সাবেক তারকা ক্রীড়াবিদ ফৌজিয়া হুদা জুই, সবুরা খাতুন, মরিয়ম তারেক, সালম খাতুনরা রয়েছেন। এই কমিটিতে ক্রীড়া সাংবাদিক মৌসুমী মৌ রয়েছেন।
এজেড/এইচজেএস