বিয়ের আসরে রাজীব-অর্থি/ফেসবুক

দাবাড়ুরা অন্য ক্রীড়াবিদের তুলনায় আচরণে একটু ভিন্ন, খানিকটা লাজুক ও ভাবুক প্রকৃতির। দেশের সর্বশেষ গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের সাথেও বিষয়টি বেশ যায়। অতি শান্তশিষ্ট দাবাড়ু জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসও শুরু করেছেন চুপিসারেই। 

২৬ ফেব্রুয়ারি মুনতাহা রুম্মান অর্থির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। করোনা মহামারির মধ্যে একেবারে পারিবারিকভাবে স্বল্প পরিসরে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। দাবা অঙ্গনে ঘনিষ্ঠদের বাইরে রাজীবের বিয়ের সংবাদ তেমন কেউ জানে না। সামাজিক মাধ্যমেও রাজীব বিয়ের কোনো ছবি পোস্ট করেননি।

দাবায় কয়েক রাউন্ড খেললেও জীবনের দ্বিতীয় রাউন্ড শুরুর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, ‘করোনার জন্য সেভাবে অনুষ্ঠান হয়নি। কাউকে জানায়নি সেভাবে। বড় আপা (তাসলিমা লিমা জার্মান প্রবাসী) ছবি পোস্ট করায় হয়তো এখন অনেকেই জানবে (হাসি) । প্রায় চার মাস আমরা পথ চলছি একসাথে। এখন পর্যন্ত বেশ সুখী আছি, সবার কাছে দোয়া চাই।’

রাজীব-অর্থির বিয়েটার গল্পটা একটু অন্যরকমই। অর্থির ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রীর ভাই রাজীব। পারিবারিকসূত্রে রাজীবকে ছোটবেলা থেকেই চেনেন অর্থি। দু'জনের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপারে রাজীবের স্ত্রী অর্থি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে প্রথাগত প্রেম -ভালোবাসা কখনো ছিল না। পারিবারিকভাবে দু'জনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব ছিল। আমি যখন খুব ছোট তখন থেকেই তাকে চিনি। সেও আমাকে চেনে। আমি তার ভক্ত ছিলাম। সে যখন গ্র্যান্ডমাস্টার হল তখনকার সকল পেপার কাটিং আমার কাছে এখনও আছে।’

ভক্তকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে খুব খুশি অর্থি, ‘পারিবারিকভাবে যখন প্রস্তাব আসল তখন সম্মতি দিয়েছি। দুই পরিবারে আগে থেকে আত্মীয়তা ও আমাদের মধ্যে চেনাজানা আছে। সব মিলিয়ে ছোটবেলার প্রিয় মানুষকে পেয়ে আমি খুব খুশি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

রাজীবের স্ত্রী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ইউএনডিপিতে এক বছর কাজ করে এখন ভূতাত্ত্বিক বিষয়ক একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। 

রাজীব পাঁচ গ্র্যান্ডমাস্টারের মধ্যে পঞ্চম ও কনিষ্ঠ হলেও দাবার বোর্ডে সিনিয়রদের যেভাবে হারান, জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসেও দু'জন অগ্রজ গ্র্যান্ডমাস্টারের আগে শুরু করলেন। 

এজেড/এটি