কেন জনপ্রিয়তা হারানোর ভয় ডাব্লিউডাব্লিউইর
অল এলিট রেসলিং(এইডাব্লিউ) কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তাদের পেছনে উঠে পড়ে লেগেছে আরেক রেসলিং জায়ান্ট ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট(ডাব্লিউডাব্লিউই)। অন্তত তাদের কার্যক্রম দেখলে এমনটাই মনে হবে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এইডাব্লিউ থেকে দূরে থাকতে রেসলারদের নাকি বড় অঙ্কের অর্থের চুক্তির প্রলোভোন দেখিয়েছে ডাব্লিউডাব্লিউই।
শুধু তাই নয় এমনও শোনা যাচ্ছে যে ২০১৯ সালে এনএক্সটিকে (ডাব্লিউডাব্লিউইর প্রযোজিত একটি অনুষ্ঠান) যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে আনার উদ্দেশ্য ছিল এইডাব্লিউ ডাইনামাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনার অবসান ঘটানো।
বিজ্ঞাপন
এইডাব্লিউর উত্থান নিয়ে যে ডাব্লিউডাব্লিউই চিন্তিত তা তাদের আচরণে প্রকাশ পেলেও প্রেসিডেন্ট নিক খান এইডাব্লিউকে নিয়ে একদমই চিন্তিত নন বলে দাবি করেছেন। জনপ্রিয় ক্রীড়া সাংবাদিক এরিয়েল হেলওয়ানিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘অন্যরা কী করছে তা নিয়ে আমরা একেবারেই ভাবছি না। ডাব্লিউডাব্লিউইর রাজস্ব বৃদ্ধি করাই এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’
রেসলিং বিষয়ক গণমাধ্যম রেসলিং অবজার্ভার রেডিওতে আরেক ক্রীড়া সাংবাদিক ডেভ মেল্টজার দাবি করেন খানকে এইডাব্লিউর ব্যাপারে সতর্ক করেছিল ডাব্লিউডাব্লিউ। তিনি বলেন, ‘তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। সবাই ভেবেছিল তারা (এইডাব্লিউ) কখনোই ডাব্লিউডাব্লিউইকে টেক্কা দিতে পারবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটাই হচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
এদিকে ক্রমেই বিশ্বের বৃহত্তম রেসলিং প্রতিষ্ঠান ডাব্লিউডাব্লিউইর সাথে নিজেদের ব্যবধান কমিয়ে আনছে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করা অল এলিট রেসলিং (এইডাব্লিউ)। এসব কারণে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েই চলেছে নবীন এই প্রতিষ্ঠানের। যদিও ডাব্লিউডাব্লিউইর রাজস্ব আয়ের অনেকগুলো উৎস থাকায় আগামী কয়েক বছর তারা একচেটিয়া ব্যবসা করবে তা নিশ্চিত।
টেলিভিশন চ্যানেলগুলো কাদের পাশে দাঁড়াবে তা বোঝা যাবে তাদের (ডাব্লিউডাব্লিউই ও এইডাব্লিউ) চ্যানেলগুলোর সাথে তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর। ধারণা করা হচ্ছে ডাব্লিউডাব্লিউইর বর্তমান মিডিয়া পার্টনার এনবিসি ইউনিভার্সাল ও ফক্স ডাব্লিউডাব্লিউইতেই আস্থা রাখবে। কিন্তু কোনভাবে যদি তারা নতুন প্রজন্মের কাছে অধিক জনপ্রিয় এইডাব্লিউ প্রচারের স্বত্ত্ব পায় সেক্ষেত্রে বর্তমানে আলোচনায় থাকা এই রেসলিং অনুষ্ঠানের খ্যাতির সুফল পেতে পারে তারা।
এআইএ/এমএইচ