খেলাধুলা এখন আর শুধু নিছক বিনোদন নয়। ক্রীড়াঙ্গনে এখন বিজ্ঞান, বিনিয়োগ সব কিছুই জড়িত। বাংলাদেশের অনেক খেলায় খেলোয়াড়দের মান উন্নয়নের পেছনে পুষ্টিবিদ নেই। বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন অবশ্য ভিন্ন পথে হেঁটেছে।

১৮ জন তরুণ খেলোয়াড় নিয়ে ২২ আগষ্ট শুরু হয়েছে দুই বছরের দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। যার মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও আটজন নারী খেলায়াড় রয়েছেন। ক্যাম্পের খেলোয়াড়দের পড়ালেখা ও স্বাস্থ্যগত-সব দিকই ঠিক রাখছে টেবিল টেনিস ফেডারেশন।  বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষক রয়েছেন। পুষ্টিবিদও আছেন। 

আগামী বছরের মার্চে মালদ্বীপে অনুষ্ঠেয় সাউথ এশিয়ান জুনিয়র অ্যান্ড ক্যাডেট টিটি চ্যাম্পিয়নশিপ এবং পরের বছর অনুষ্ঠিতব্য সাউথ এশিয়ান গেমস। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খোন্দকার হাসান মুনীর বলেন, ‘একটি টুর্নামেন্ট ও একটি গেমসকে সামনে রেখে আমরা দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ। খেলোয়াড়দের পড়ালেখা ও স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আমরা দু’জন বাণিজ্য ও বিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। সেই সঙ্গে পুষ্টিবিদও রয়েছেন। এই দু’জায়গাতেই আমাদের লক্ষ্য ভারতের সঙ্গে লড়াই করে জেতা। তবে আমাদের এই ক্যাম্প কমনওয়েথল গেমসকে সামনে রেখে আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে।’ ৫ সেপ্টেম্বর এই ক্যাম্পে যোগ দেবেন পাঁচজন ভারতীয় কোচ কাম ট্রেনিং পার্টনার। 

শনিবার ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন জার্মানিয়া কর্পোরেশনের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর মো. জাভেদ সিদ্দিকী এবং দীর্ঘমেয়াদী এই টিটি ক্যাম্পের সঙ্গে থাকার ইচ্ছা পোষন করেন। সেঙ্গ সঙ্গে ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ফেডারেশন কাপ র‌্যাংকিং টিটিতে দু’লাখ টাকা দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সভাপতি সাইদুজ্জামান।

এজেড/এটি