উচ্চতা মাত্র ৪ ফুট ১০ ইঞ্চি। এই উচ্চতার কাউকে ভলিবলে তেমন দেখা যায় না। সামান্য উচ্চতা নিয়েই জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নেপালকে ভলিবলে নানা সাফল্য এনে দিচ্ছেন সালিনা শ্রেষ্ঠা। 

তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতাপুর্ণ ফাইনালে উজবেকিস্তানকে হারানোর পর নেপালের সবাই যখন উল্লাসে। তখন মিরপুরের ইনডোরে আগত অনেকের দৃষ্টি সালিনার দিকে। এত কম উচ্চতায় সালিনা কিভাবে বাজিমাত করেন। এর উত্তরও দিলেন হাসিমুখে, ‘ভলিবল ছোটরাও খেলতে পারে। আমি সেটাই প্রমাণ করতে চেয়েছি।’ 

সালিনার সতীর্থ সাবিথা খেলোয়াড় হিসেবে তার গুণ বিশ্লেষণ করলেন এভাবে, ‘সে লিবারো (ডিফেন্স)  পজিশনে খেলে। বলের উপর দারুণ দখল তার। বল রিডও করতে পারে ভালো।’ 

উচ্চতা কম বলে বাড়তি অনুশীলন করতে হয় না তার, ‘অন্য সবাই যে অনুশীলন করে আমিও সেটা করি’-বলেন সালিনা।’ বাংলাদেশে এসে ভালোই উপভোগ করছেন নেপালের এই লিবারো, ‘বাংলাদেশে দারুণ সমর্থন পেয়েছি। দেশের বাইরে আমি থাইল্যান্ড আর বাংলাদেশে এসেছি এর মধ্যে বাংলাদেশে দারুণ সমর্থন পেলাম।’ 

মেয়েদের বিভাগে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নেপাল। ফাইনালে নেপাল ৩-২ সেটে উজবেকিস্তানকে পরাজিত করে। ২৬-২৪, ২৪-২৬, ২৫-১৫, ২২-২৫ ও ১৫-১০। 

নেপাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরপর ইনডোর স্টেডিয়ামে নেপালীরা উৎসবে মেতে ওঠে। বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে পড়াশোনা করা নেপালী শিক্ষার্থী অনেক আনন্দ করে। সেই আনন্দে নেপালী চ্যাম্পিয়ন মেয়েরাও নেচেছেন। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে কিরগিজস্তানকে ৩-০ সেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

এজেড/এটি