বাংলাদেশের অ্যাথলেটিক্সে ভারতের ফটো মেশিন
৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ৪৫ তম জাতীয় অ্যাথলেটিক্স। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের নামকরণ হয়েছে শহীদ শেখ কামাল ৪৫তম জাতীয় অ্যাথলেটিক্স। এমন আয়োজনে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন কোনো পৃষ্ঠপোষকতা পায়নি নিজের তহবিল থেকেই এই আয়োজন করছে।
এমনিতেই আর্থিক সংকট তার উপর আবার ভারত থেকে ফটো ফিনিশিং এনেছে ফেডারেশন। ফটো ফিনিশিং পরিচালনার মতো দক্ষ দুই জন লোকও আনা হয়েছে ভারত থেকে। এই প্রসঙ্গে আজ সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, ‘নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা আয়োজনের ফলাফলকে সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষতার স্বার্থে ফটো ফিনিশিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।’
বিজ্ঞাপন
ফটো ফিনিশিং চার দিনের জন্য ভাড়া ও দুই জন টেকনিশিয়ানের জন্য বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের অবশ্য খুব বেশি খরচ হচ্ছে না। ভারতের অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন এক্ষেত্রে কিছুটা সহায়তা করছে। ২০১৭ সালের পর আবার ফটো ফিনিশিংয়ে হবে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স।
জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে অংশ নেয়ার জন্য দেশে এসেছেন লন্ডন প্রবাসী অ্যাথলেট ইমরান রহমান। প্রবাসী অ্যাথলেটকে নিয়ে উচ্চাশা ফেডারেশনের, ‘তার টাইমিং বেশ ভালো। এই টাইমিং বজায় রাখতে পারলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পদক জেতা সম্ভব হবে।’
বিজ্ঞাপন
আজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ইংরেজী নতুন বছর। তবে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স হচ্ছে ২০২১ এর। এজন্য অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন ভেন্যু সংকটকে দায়ী করলেন, ‘আমরা ২০২১ সালেই করতে চেয়েছিলাম কিন্তু ভেন্যু পায়নি। ভেন্যু সমস্যার জন্য এক বছরের খেলা আরেক বছরে গড়াচ্ছে’ বলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ফারুকুল ইসলাম।
ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক ভেন্যু সংকট প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভেন্যু পাই না। আমরা ভেন্যু ও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পেলে সাফ গেমসে দুইটি স্বর্ণপদক উপহার দেব।’ কোন দুই ইভেন্টে স্বর্ণ পদক উপহার দিতে পারবে সেটা অবশ্য স্পষ্ট করে বলেননি সাধারণ সম্পাদক।
এবারের প্রতিযোগিতায় নারীদের চারটি নতুন ইভেন্ট ৫ হাজার মিটার, ১০ হাজার মিটার, ৪০০ মিটার হার্ডেলস ও ট্রিপল জাম্প যুক্ত হয়েছে। তিন দিন ব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় পুরুষ ২২ টি ও নারী ১৮ টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি ইভেন্টের বিজয়ীরা আর্থিক পুরস্কার পাবেন এবং রেকর্ডধারীরা বিশেষভাবে পুরস্কৃত হবেন।
এজেড/এটি