টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম আরচ্যারি ফেডারেশনের জন্য বরাদ্দ করা। সেই স্টেডিয়ামে এখন বাফুফে প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করছে। এ নিয়ে দুই ফেডারেশনের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে বিব্রত হয়েছেন স্বয়ং ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। আজ শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জাতীয় টার্গেটবল চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে এসে আরচ্যারি-ফুটবলের দ্বন্দ্ব নিয়ে কথা বলেছেন। 

দেশের শীর্ষ ক্রীড়া ফেডারেশন বাফুফের কর্মকাণ্ডে কিছুটা বিরক্ত প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দুই ফেডারেশনের মধ্যে যে ঝামেলা হয়েছে সেটা সেটা হওয়ার কথা ছিল না। গতবার যখন ফুটবলকে অনুমোদন দিয়েছিলাম। তখন বলা হয়েছিল আরচ্যারির সঙ্গে আলোচনা করতে। যেহেতু এটা আরচ্যারি ব্যবহার করে। ফলে তাদের  অগ্রাধিকার বেশি এবং তাদের মতামতের ওপরই নির্ভর করে। তারা যদি মনে করে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে, তাহলে ব্যবহার করা যাবে। না হলে নয়। গতবারও তারা (বাফুফে) সেটা করেনি, এবার তারা আরো ভয়াবহ কাজ করেছে।’ 

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক উল্টো ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিছু দিন আগে। তার ভাষ্য ছিল বরাদ্দকৃতপত্র বাফুফের অনুকূলে যেখানে নাকি আরচ্যারিকে বাফুফের সাথে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বাফুফের কর্মকাণ্ড শোভনীয় মনে হয়নি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে, ‘বাফুফে যেটা করেছে সেটা অনেক জোরদখলের মতোই।’

বাফুফেকে আরো কাঠগড়ায় ফেলেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘প্রথমে তাদের সাত ভেন্যুতে খেলার কথা ছিল। সেখান থেকে চার ভেন্যু এরপর দুই ভেন্যু। ঢাকার বাইরে এত স্টেডিয়াম করা হয়েছে। এগুলোতে খেলতে না গেলে স্টেডিয়াম তৈরি করে লাভ কি?’

লিগ শুরুর আগে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও এখন দুই পক্ষ কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে। আরচ্যারি ফেডারেশন নমনীয়তা দেখিয়ে খেলার দিন দুপুর একটার মধ্যেই বাফুফেকে মাঠ ছেড়ে দেয়। এই উদারতা ২০ ফেব্রুয়ারির পর আরচ্যারির পক্ষে দেখানো সম্ভব হবে না। কারণ মার্চে তাদের আন্তর্জাতিক সূচি রয়েছে।
 
২০ ফেব্রুয়ারির পর এই ভেন্যুর ভাগ্য আরচ্যারির উপরই ছেড়ে দিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী, ‘আরচ্যারি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে সাফল্য দিচ্ছে। সামনে এশিয়ান গেমস সহ অনেক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট রয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারির পর আরচ্যারির সিদ্ধান্ত মেনেই ফুটবলকে চলতে হবে। আগের বছর সপ্তাহে একদিন খেলা ছিল, এবারও এমন হলে আপত্তি থাকবে না।’

শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ টার্গেটবল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে আয়োজিত শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জাতীয় টার্গেটবল প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো.জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, অল্প সময়ে শুরু হলেও খেলাটি ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এটি আরো বিকশিত হবে। খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলার মাধ্যমে দেশ থেকে মাদক সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব।  

অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের পথিকৃৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারকে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। তার নামে এই টুর্নামেন্টকে আমি স্বাগত জানাই। 

উল্লেখ্য, ১২টি পুরুষ ও ১২টি মহিলা দল নিয়ে আয়োজিত এ টুর্নামেন্ট আগামীকাল (মঙ্গলবার) শেষ হবে।

এজেড/এমএইচ/এটি