মেঘে মেঘে তো বেলা কম হলো না। সেই ২০ বছর বয়স থেকে টেনিস কোর্ট দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রজার ফেদেরার, এরপরের বিশ বছর কেবল তার দাপটই দেখেছে টেনিস বিশ্ব। তবে শেষ কিছুদিনে চোটাঘাত তাকে খেলতে দিচ্ছে না তার মতো, ফর্মটাও কথা বলছে না পক্ষে। শেষের খুব কাছে চলে এলেই তো এমন হয়, সেটা বুঝতে বাকি নেই তারও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অকপটে স্বীকার করে নিলেন বিষয়টা।

চোটের কারণে শেষ দুই বছরে খুব একটা খেলা হয়নি তার। চলতি বছর জুনের ফ্রেঞ্চ ওপেন দিয়ে প্রায় দেড় বছর পর মাঠে ফেরেন তিনি। এরপর উইম্বলডন খেলে আবারও হাঁটুর চোটে পড়েন তিনি, করতে হয় অস্ত্রোপচার। এর আগে সেই একই জায়গায় দুটো অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল তাকে। 

একই জায়গায় তিন অস্ত্রোপচারের কারণে সেরে উঠতেও সময় নিচ্ছে চোটটা। সে কারণেই আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে পারবেন না, তা একরকম নিশ্চিত। উইম্বলডন খেলার একটা সম্ভাবনা আছে, তবে সেটা হলেও খুবই বিস্মিত হবেন বলে জানালেন ফেদেরার। সম্প্রতি ত্রিবিউন দ্য জেনেভকে তিনি বললেন, ‘সত্যিটা হলো, উইম্বলডনে নামতে পারলে আমি নিজেই খুব অবাক হবো। কারণ হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ হয়ে উঠতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগে। সেই সময় দিতেই হবে আপনাকে।’ 

তবে ফিরলেও কোর্টে তার সময়টা যে খুব লম্বা হবে না সেটাও জানিয়ে দিলেন সুইস টেনিস তারকা। বললেন, ‘যদিও আমি জানি, শেষের খুব কাছাকাছিই আছি, তবু আমি চেষ্টা করতে চাই। আরও কিছু বড় ম্যাচ খেলতে চাই। আমি জানি কাজটা সহজ হবে না, কিন্তু চেষ্টা করতে ক্ষতি কী?’

সবশেষ ফাইনালটা তিনি খেলেছিলেন ২০১৯ সালের উইম্বলডনে, ইতিহাসের সেরা ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল যখন চলছিল তখনই। লর্ডসের কয়েক কিলোমিটার দূরত্বেই অল ইংল্যান্ড টেনিস ক্লাবে হচ্ছিল তার লড়াই। নোভাক জকোভিচের বিপক্ষে তিনিও উপহার দিয়েছিলেন ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় এক ফাইনাল। পাঁচ সেটের মহাকাব্যের শেষটা সেদিন ভালো হয়নি তার।

তেমন কিছু যদি আর নাও হয়, আর যদি কখনো ফাইনাল না খেলতে পারেন, তবেও ক্ষতি নেই, জানালেন ফেদেরার। বললেন, ‘পরিষ্কার বলে দেই, আরেকটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল না খেললে আমার জীবন শেষ হয়ে যাবে না। তবে সেখানে যদি ফিরতে পারি, সেটা হবে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো বিষয়। আমি শেষ বারের মতো দেখতে চাই, পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে আমার সামর্থ্য কতটুকু।’

এনইউ