যুক্তরাষ্ট্রের ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস সম্প্রতি প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। জেফ বেজোসের পর অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন অ্যান্ডি জ্যাসি। 

অ্যামাজন বিশ্বের অন্যতম বড় ই-কমার্স কোম্পানি। কোম্পানিটি অনলাইন বুক রিটেইলারের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে। পরবর্তীতে অ্যামাজন কোম্পানি হোম ডেলিভারি, ক্লাউড কম্পিউটিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মুভিজ ও স্পোর্টসের বড় একটি সাম্রাজ্য তৈরি করে। কীভাবে অনলাইনে অ্যামাজনের এই বড় সাম্রাজ্য তৈরি হলো? 

২০১৮ সালে অ্যামাজন ছিলো অ্যাপলের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনকারী কোম্পানি। একই বছর অ্যামাজনের আয় ছিলো এক ট্রিলিয়ন ডলার। বর্তমানে অ্যাপল ও মাইক্রোসফটের পরে অ্যামাজন তৃতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনকারী কোম্পানি। 

২০২০ সালে অ্যামাজনের আয়ের পরিমাণ ৩৮৬ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে কোম্পানিটির আয়ের পরিমাণ ছিলো ২৮০ বিলিয়ন ডলার। অ্যামাজনের নিট মুনাফা প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার। 

জেফ বেজোসের সফলতার কারণেই কোম্পানিটি মুনাফা অর্জনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। অ্যামাজনের ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস ও ডিভাইস, ক্লাউড সার্ভিস এবং গ্লোসারিজ এখন ফেসবুক, অ্যাপল, গুগল ও নেটফ্লিক্সের মতো টেক জায়ান্টের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। 

১৯৯৫: অনলাইন বুক লঞ্চিং করে অ্যামাজন

১৯৯৯ সালে জেফ বেজোস বলেন, ‘চার বছর আগে যখন আমরা অনলাইন বুক সেলস লঞ্চিং করেছিলাম, তখন অন্যরা বলেছিলো, আমরা শুধু কম্পিউটারের মানুষ। বইয়ের ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। হ্যাঁ, আমরা সত্যিই বই সম্পর্কে কিছু জানি না।’ 

অ্যামাজন কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইন সেলস বিভাগে অনেক সফলতা দেখিয়েছে। ই-বুকসের কারণেই কোম্পানিটির খ্যাতি তুঙ্গে উঠেছে। নব্বইয়ের দশকের শেষভাগে অ্যামাজন ডিভিডি বিক্রয়ের মাধ্যমে অনলাইনে অন্যান্য পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্য দিয়ে জেফ বেজোসের অনলাইন সাম্রাজ্য ইলেক্ট্রনিক্স ও অন্যান্য উপকরণে ভরে ওঠে। 

২০০৫: অ্যামাজন প্রাইম লঞ্চিং হয় 

২০০০ সাল থেকে বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের প্ল্যাটফরম তৈরির পর তাদের ডেলিভারি সার্ভিস প্রচারের জন্য অনুভব করে। সেই তাগিদ থেকে ২০০৫ সালে অ্যামাজন প্রাইম লঞ্চিং করা হয়। বর্তমানে অ্যামাজন প্রাইমের শতাধিক মেম্বার রয়েছে। বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পেইড মেম্বারশিপ প্রোগ্রাম এটি। 

২০০৭: দ্য কিন্ডল লঞ্চিং হয়

যখন ই-বুক জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলো তখন অ্যামাজন একটি ই-বুক প্রডাক্ট লঞ্চিং করে। ২০০৭ সালে ই-বুক প্রডাক্ট দ্য কিন্ডল লঞ্চিং হয়। ২০১০ সাল থেকে দ্য কিন্ডল অ্যাপল ও গুগলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করে। অ্যামাজনই প্রথম কোম্পানি যারা স্মার্ট ডিভাইস অ্যালেক্সা বিক্রয় শুরু করে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্মার্ট ডিভাইস বিক্রয়কারী হিসেবে পরিগণিত হয়েছে অ্যামাজন। 

এইচএকে/এএ