দিন দিন বাড়ছে তাপমাত্রা। অনেক জেলার তাপমাত্রা এখন ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষের জীবন। শুধু মানুষই না, প্রচণ্ড গরমে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসেও একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

প্রতিটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পর্যন্ত ঠিক থাকে। কিন্তু তাপমাত্রা বেশি হলেই বেশকিছু সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে অ্যাপেলের যেকোনো ডিভাইসে। ম্যালফাংশেন হয়, হ্যাংও হয়।

তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কীভাবে? কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

সরাসরি সূর্যালোকে ফোন রাখবেন না

সরাসরি সূর্যালোকে ফোন রেখে দিলে ফোন অতিরিক্ত গরম হতে শুরু করে। প্রতিটি ফোন নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পর্যন্ত সঠিকভাবে কাজ করে। তাপমাত্রা বেশি হলে ফোনের প্রসেসিং ইউনিটের সমস্যা তৈরি হয়। ফোন হ্যাং হয় এবং সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।

ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখা

ফোনের ব্রাইটনেস যত বেশি রাখবেন ফোন তত বেশি গরম হতে পারে। সেকারণে ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন। এর ফলে ফোনের তাপমাত্রা থাকবে একদম সঠিক। ফোন সঠিকভাবে ব্যবহার করা যাবে।

ফোন কভার খুলে রাখা

ফোনের কভার থাকলে ফোন বেশি গরম হয়। কারণ, কভারের কারণে ফোনের গরম হাওয়া বের হতে সমস্যা হবে। সেকারণে ফোন হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কিন্তু ফোনের কভার না থাকলে গরম হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক অনেক কম।

অব্যবহৃত অ্যাপ বন্ধ রাখা

অনেক অ্যাপ ব্যবহার না করা হলেও সেগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। সেই অ্যাপগুলো ফোনের প্রসেসিং ইউনিটের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে ফোন গরম হয়।

ফোনের ফ্লাইট মোড ব্যবহার

প্রতিটি ফোনেই রয়েছে ফ্লাইট মোড। দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের পর ফোন গরম হলে এয়ারোপ্লেন মোড চালু করুন। এর ফলে ফোনের যাবতীয় প্রসেস বন্ধ হয়ে যায় এবং সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।

এমএইচএস