২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য তাদের ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেটের ৮৫ ভাগ গতি বাড়াতে ব্যর্থ হবে বলে ধারনা করছেন দেশটির আইনসভা। এর আগে যুক্তরাজ্য সরকার পাঁচ বছরের জন্য তাদের ইন্টারনেট গতি বাড়ানোর লক্ষমাত্র নির্ধারণ করেন। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছে দেশটি।

আইনসভার ডিজিটাল, কালচার, মিডিয়া ও স্পোর্টস কমিটি এক প্রতিবেদনে জানায়, সরকারের এই লক্ষ্যমাত্রায় সুসংহত পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। এমনকি এতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাও ছিলো না। 

কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর যুক্তরাজ্য সরকার  সম্প্রতি পরিকল্পনার আরেকটি অংশ প্রকাশ করেছে। 

ব্রডব্যান্ডের কর্মকর্তা লয়েড ফেলটন বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো খুব জরুরি। এসময় তিনি অফকমের প্রতিবেদন উল্ল্যেখ করে বলেন , যুক্তরাজ্যের ১৮ শতাংশ মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। 

এদিকে যুক্তরাজ্য সরকারের পরিকল্পনায় ৫ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে ফাইভ জি প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তির কথাও ছিল। যদিও যুক্তরাজ্যের ৯ শতাংশ স্থানে ফোরজি নেটওয়ার্ক চালু করা সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয় অনেস্ট মোবাইল প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি এটিকেন বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে কেন্দ্রীয় লন্ডনে বসেও ফাইভজি প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না। লকডাউন আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।’ 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাইয়ে পাস করা এক আইনের জন্য যুক্তরাজ্যের মোবাইল ফোনের প্রোভাইডাররা ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে হুয়াওয়ে ফাইভজি ব্যবহার করতে পারবে না।

বিবিসি। এইচএকে/আরআর