ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) ছাড়া এখন থেকে কোনো নতুন টিভ্যাস (টেলিকম ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস) সেবা দেয়া যাবে না। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি। এর ফলে দুটি মোবাইল ফোন অপারেটরের টিভ্যাস সেবা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হলো। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আরও দুটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও বাংলালিংক প্রতিনিধিদের বৈঠকে এই সমস্যার সমাধান হয়। আপাতত এই অস্থায়ী সমাধান মিললেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আগামী কমিশন বৈঠকে। 

বৈঠক থেকে জানা যায়, মোবাইল অপারেটর দুটির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি। সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে— ওটিপি ছাড়া এখন থেকে কোনো নতুন টিভ্যাস সেবা দেয়া যাবে না, লাইসেন্সপ্রাপ্ত যেকোনো প্রতিষ্ঠান চাইলেই টিভ্যাস সেবা নিতে অপারেটরগুলোকে বাধ্য করতে পারবে না এবং প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানটির সেবা কমপ্লায়েন্স কি-না তা যাচাই করতে পারবে অপারেটর দুটি (বাংলালিংক ও রবি)। এছাড়া টিভ্যাস সেবার ওপর মনিটরিং ক্ষমতা আরও বাড়াতে পারবে অপারেটরগুলো।

প্রসঙ্গত, মোবাইল গ্রাহকের অজান্তে টিভ্যাস সেবা চালু করে টাকা কেটে নেয়ার অভিযোগ ছিল রবি ও বাংলালিংকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের সূত্র ধরে গত ১২ নভেম্বর অপারেটর দুটির কাছে ৭ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি। তখন থেকেই সেবা বন্ধ রাখার কথা বলেছিল বিটিআরসি। 

অপারেটরগুলোর সূত্রে তখন জানা যায়, বিটিআরসির সাথে আলোচনা করে তারা সমাধানে পৌঁছেছে। গত রোববার বিটিআরসি এই নির্দেশনা পাঠিয়ে সোমবার থেকে তা কার্যকরের নিদের্শনা দিলে অপারেটর দুটি তাদের টিভ্যাস সেবা দাতাদের (কনটেন্ট প্রোভাইডার বা সিপি) সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়।  যদিও মঙ্গলবারের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত অস্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিটিআরসি।

এদিকে দেশে নিবন্ধিত টিভ্যাস কোম্পানির সংখ্যা ১৮২টি। এই কোম্পানিগুলোই বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরকে কনটেন্ট সরবরাহ করে যা ‘টিভ্যাস’ নামে পরিচিতি।

এইচএন/এনএফ