যুক্তরাষ্ট্রের ৪০টি অঙ্গরাজ্যের ব্যবহারকারীদের অবৈধভাবে লোকেশন ট্র্যাক করছে সার্চ ইঞ্জিন ও টেক জায়ান্ট গুগল। এ অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে ৩৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে মিশিগানের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা।

মঙ্গলবার গুগলের বিরুদ্ধে এই জরিমানার বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দুই অঙ্গরাজ্য অরিগন ও নেব্রাস্কা কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে হওয়া এক তদন্তে এই ভয়াবহ তথ্য সামনে এসেছে। এতে দেখা গেছে, গত মাসে কয়েকটি নির্দিষ্ট ফার্মের ব্যবহারকারীদের লোকেশন অবৈধভাবে ট্র্যাক করা হয়েছে। যা ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই উদ্বেগের।

আরও পড়ুন > ভার্চুয়াল কিবোর্ডে নতুনত্ব আনছে গুগল

অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে আরও বলা হয়, জরিমানা প্রদান ছাড়াও গুগলকে ব্যবহারকারীদের লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছ হতে হবে। বিশেষ করে তারা যখন কোনো তথ্য গ্রহণ বা বিশেষায়িত ওয়েবপেইজ ব্যবহার করবেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল টম মিলার বলেন, যখন একজন ব্যবহারকারী ডিভাইসে বর্তমান লোকেশন শেয়ার করতে চাইবেন না, তখন তিনি গুগলকে বিশ্বাস করেই করছেন। তখন গুগল চাইলেও কোনো ব্যবহারকারীর লোকেশন ট্র্যাক করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন > গুগলের দুই সেবায় আসছে নতুন চমক

তিনি বলেন, এই রায়ে এটি স্পষ্ট যে, গুগলকে আরও স্বচ্ছ হতে হবে। একই সঙ্গে দেশের প্রচলিত প্রাইভেসি আইন মেনেই এসব কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

এ নিয়ে গুগলের মুখপাত্র জোস কেসটেন্দা বলেন, আমরা এই তদন্তটি নিষ্পত্তি করছি। অবশ্য আমরা এ ধরনের পলিসি আরও এক বছর আগেই পরিবর্তন করেছি।

গুগল এক ব্লগ পোস্টে জানায়, সামনের দিনগুলোতে গুগল তাদের লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতার পরিচয় দেবে।

মূলত গুগলের বিরুদ্ধে অ্যাটর্নির অফিসে মামলাটি চালু হয় ২০১৮ সালে। আগেও ২০১৪ সালে গুগলের বিরুদ্ধে কন্সুমার প্রটেকশন আইন ভঙ্গের অভিযোগ উঠে। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে একই বিষয়ে মামলা হয় গুগলের বিরুদ্ধে। তখন অবশ্য এটি নিষ্পত্তি হয়েছিল ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

এছাড়াও টেক্সাস, ইন্ডিয়ানা, ওয়াশিংটনে গত জানুয়ারি মাসে লোকেশন ট্র্যাকিং সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা হয়েছিল।