সম্প্রতি প্রায় ৫৪ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের ৩৮ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৯ জন ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্যও রয়েছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সাইবার অপরাধ বিভাগ হাডসন রকের চিফ টেকনোলজি অফিসার অ্যালোন গ্যাল শনিবার টুইটারে এ তথ্য জানান। 

চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো অ্যালোন গ্যাল অনলাইন বিজ্ঞাপনে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন তথ্য ব্যবহৃত হতে দেখেন। টুইটারে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশের ব্যবহারকারীদের তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। 

বিজনেস ইনসাইডারের খবরে বলা হয়, ফেসবুক আইডিতে দেওয়া ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর, নাম, অবস্থান, জন্মদিন, বায়ো, ই-মেইল অ্যাড্রেস অনলাইনে ফাঁস হয়ে যায়। এর মধ্যে বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তাদের সংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখ। এছাড়াও রয়েছেন যুক্তরাজ্যের ১ কোটি ১০ লাখ ও ভারতের ৬০ লাখ ব্যবহারকারী। 

তিনি বলেন, ‘ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বরের মতো আরও অনেক ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় যেকোনো সময় হ্যাকিং, স্প্যামিং ও খারাপ উদ্দেশ্যে বিপণনের শিকার হতে পারেন তারা। যা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য অশনিসংকেত।’ 

অনলাইনে একসঙ্গে একাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনাটি এবারই প্রথম ঘটেনি। ২০১৯ সালেও একইভাবে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। কিন্তু বিজ্ঞাপনদাতারা ব্যবহারকারীদের তথ্য কীভাবে ফাঁস করেছে সে বিষয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত ফেসবুককে ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা করে। এর আগে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময় ৮ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার করে ফেসবুক।

অ্যালোন গ্যাল বলেন, নিরাপত্তার ব্যাপারে ব্যবহারকারীদের সাহায্য করতে পারবে না ফেসবুক। তাদের তথ্য ইতোমধ্যেই ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে অনলাইনে তথ্য ফাঁস হওয়ার আগে ফেসবুকের উচিত ছিলো ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়ে ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দেওয়া। 

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবহারকারীরা ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর ওপর আস্থা রেখে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলো এবং নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করেছিলো। কিন্তু ব্যবহারকারীদের আস্থার জায়গা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক। অনলাইনে ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস হওয়ার মাধ্যমে ফেসবুকের প্রতি অনেকেই আস্থা হারাবেন।’ 

তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি ফেসবুক।

এইচএকে/এএ