বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয় বন্দী। বর্তমান সময়ে ছোট-বড় সবার হাতেই স্মার্টফোন দেখা যায়। ঘরে বসে অফিসের কাজ থেকে শুরু করে শিশুদের স্কুলের অনলাইন ক্লাস,সবকিছু স্মার্টফোনেই চলছে। আমরা এতে এমনভাবে মিশে গেছি যে শেষ কবে বন্ধুদের সঙ্গে সরাসরি আড্ডা দিয়েছি সেটা বলতে পারবো না। ফলে অনেকেই অ্যাডিক্টেড হয়ে পড়ছেন। আপনিও কি অ্যাডিক্টেড হয়েছেন? বুঝবেন কীভাবে? 

খেয়াল করুন গতিবিধি
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি অ্যাডিক্টেড হয়েছেন কি না সেটি বোঝার জন্য নিজের গতিবিধি বিবেচনা করুন। দিনের সিংহভাগ সময় যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে যায় তাহলে বুঝে নেবেন আপনি অ্যাডিক্টেড হয়ে পড়েছেন। স্ট্যাটাসে কত জন লাইক দিল, কত জন মন্তব্য করল এবং কত জন শেয়ার করল সেটি দেখার জন্য বার বার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢু মেরে আসতে থাকেন তাহলে সেটিও অ্যাডিক্টেড হওয়ার অন্যতম কারণ। 

লক্ষ্য রাখুন চিন্তাভাবনার ওপর 
অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ধরনের চিন্তাভাবনা না করে যেকোনো কনটেন্ট প্রকাশ করেন। খামখেয়ালি ভাতে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ও মন্তব্য করেন। আপনিও যদি এই দলে থাকেন তাহলে আজ থেকেই সাবধান হোন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অপেক্ষাকৃত কম সময় দিন। 

এডিট করার প্রবণতা আছে কি না দেখুন 
সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ছবি বা কনটেন্ট প্রকাশ করার পর অনেকের সেটি বার বার এডিট করার প্রবণতা রয়েছে। খেয়াল করুন আপনার মধ্যেও সেই প্রবণতা আছে কি না। যদি এমন প্রবণতা থাকে তাহলে নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে নিন। 

স্মার্টফোনের দিকে দৃষ্টি রাখুন 
সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাডিক্টেডদের চেনার উপায় হলও তাদের হাতে প্রায় সবসময় স্মার্টফোন দেখা যায়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময়, গভীর রাতে ঘুম ভেঙে গেলে, খাওয়ার সময় তাদের হাতে স্মার্টফোন দেখা যায়। এক মুহূর্তও এটি ছাড়া তারা থাকতে পারেন না। 

শারীরিক সমস্যার ব্যাপারে খেয়াল রাখুন 
আপনি কি হঠাৎ করে ঘাড়ে ব্যথা বা পিঠে ব্যথা অনুভব করছেন? তাহলে বুঝে নেবেন আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাডিক্টেড। যা আপনার শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

এসব অভ্যাস থেকে নিজেকে আসতে আসতে বের করে আনার চেষ্টা করুন। পরিবারের সঙ্গে আড্ডা কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় ফোন দূরে রাখুন। ইচ্ছে না করলেও জিনিস গুলো করার চেষ্টা করুন। তবেই নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডিক্টেড হওয়া থেকে আটকাতে পারবেন।

এইচএকে/আরআর/এএ