তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কারণেই করোনাভাইরাস মহামারিতে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব হয়েছে। 

সোমবার (১৭ মে) তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ এবং এর অধীন বিভিন্ন দফতর, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনলাইন প্লাটফর্মে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার না বাড়লে, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রশাসন, বাণিজ্যিক কার্যক্রমসহ জীবনে স্থবিরতা নেমে আসত। যেকোনো সংকটকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। 
 
তিনি বলেন, গত বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের দিকনির্দেশনায় আইসিটি বিভাগ সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন, ইন্টারনেট ও লজিস্টিকস- এ পাঁচটি দীর্ঘমেয়াদী বিজনেস কন্টিনিউটি প্ল্যান প্রণয়ন করে।

পলক বলেন, দীর্ঘমেয়াদী বিজনেস কন্টিনিউটি প্ল্যানের ফলে, গত ১৩ মাস ধরে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ই-ফাইলিং, ই-কমার্স, শিক্ষা, প্রশাসনিক কার্যক্রম ও ভার্চুয়াল কোর্ট থেকে শুরু করে সবকিছু চলমান রাখা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করছে। বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ‘রূপকল্প ২০৪১’ যা জ্ঞানভিত্তিক, প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত-সমৃদ্ধ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, আইসিটি অধিদফতরের মহাপরিচালক আরশাদ হোসেনসহ বিভাগ ও সংস্থাপ্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

একে/আরএইচ