মাত্র ৪৫ টাকায় মিলবে আর এস খতিয়ান

অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে মিলবে জমির আর এস খতিয়ান। এর সার্টিফায়েড কপি পেতে গ্রাহকের খরচ হবে মাত্র ৪৫ টাকা।

আর এস খতিয়ান কী?

একবার জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আর এস খতিয়ান নামে পরিচিত। দেখা যায় যে, এস এ জরিপের আলোকে খতিয়ান প্রস্তুতের সময় জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে তদন্ত করেননি। তাতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। ওই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি মেপে পুনরায় খতিয়ান প্রস্তুতের উদ্যোগ নেয়। এই খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামে পরিচিত।

আরো পড়ুন -

অনলাইনে করোনা পরীক্ষার আবেদন করবেন যেভাবে

ফেসবুক ভেরিফায়েড করবেন যেভাবে

এ পদ্ধতিতে সরকারি আমিনরা মাঠে গিয়ে সরেজমিনে জমি মাপামাপি করে এই খতিয়ান প্রস্তুত করেন বলে তাতে ভুলত্রুটি কম লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এই খতিয়ান বি এস খতিয়ান নামেও পরিচিত।

কীভাবে মিলবে আর এস খতিয়ান?

দাপ্তরিক কাজে ব্যবহারের জন্য জমির আর এস খতিয়ান পেতে গ্রাহকের খরচ হবে মাত্র ৪৫ টাকা। সময় লাগবে তিন দিন। এছাড়া দেশের যেকোনো স্থান থেকে ভার্চুয়াল রেকর্ড রুম ওয়েবসাইটে (rsk.land.gov.bd) ঢুকে আর এস খতিয়ান দেখা যাবে।

যেভাবে আবেদন করতে হবে

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আর এস খতিয়ানের নম্বর দিতে হবে। এরপর 'ক্যাপচা'র যোগফল লিখে 'খুঁজুন' বাটনে ক্লিক করলে পর্চা বা খতিয়ান প্রদর্শিত হবে। সার্টিফায়েড কপি পেতে সার্টিফায়েড বা অনলাইন কপির বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।

আরো পড়ুন -

অনলাইনে করোনার টিকা সনদ সংগ্রহ করবেন যেভাবে

ভালো মেমোরি কার্ড চেনার উপায়

গোপনে কে আসে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে জেনে নিন

প্রদর্শিত ফরমটি পূরণের পর, প্রয়োজনীয় ফি মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইনে পরিশোধ করে তিনদিনের মধ্যে ডাকযোগে মৌজা আর এস খতিয়ানের সার্টিফায়েড কপি পাওয়া যাবে।

বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুরসহ দেশের ২১ জেলায় ডিজিটাল রেকর্ডরুম চালু করা হয়েছে। এর ফলে এসব জেলার ভূমিসংক্রান্ত সব ম্যানুয়াল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং অনলাইনে আবেদন ও ফি প্রদানের মাধ্যমে ঘরে বসেই খতিয়ানের সার্টিফায়েড কপিসহ ভূমিসংক্রান্ত সেবা নিতে পারবেন নাগরিকরা।

গত ২৩ ডিসেম্বর সচিবালয়ে ২১ জেলায় ডিজিটাল রেকর্ড রুমের সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

প্রাথমিকভাবে ঢাকা, ফরিদপুর, নরসিংদী, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও সিরাজগঞ্জে ডিজিটাল রেকর্ড রুম চালু করা হয়েছে।

এ সময় ভূমিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৬-৭ মাসের মধ্যে দেশের পার্বত্য তিন জেলা ছাড়া বাকি ৪০ জেলায় ডিজিটাল রেকর্ড রুম চালু করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ১১৩টি খতিয়ান অনলাইনে চূড়ান্তভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। ই-পর্চা, ল্যান্ড, ডিএলএসআর, মিনল্যান্ড এই চারটি ওয়েবসাইট বা জাতীয় তথ্য বাতায়নের সকল জেলা বাতায়নের ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকরা অনলাইনে এই সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।

এসএইচআর/এসআরএস