মেটার ‘ফিনিক্স’ মিক্সড রিয়েলিটি চশমার উদ্বোধন পেছাল
মেটা তাদের বহুল প্রত্যাশিত মিক্সড রিয়েলিটি চশমা ‘ফিনিক্স’ বাজারে আনতে আরও সময় নিচ্ছে। আগে পরিকল্পনা ছিল ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে বাজারে আসবে। কিন্তু এখন লক্ষ্য ২০২৭ সালের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে বাজারে নিয়ে আসার।
সংস্থার রিয়েলিটি ল্যাবস ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহের সাবা কর্মীদের কাছে পাঠানো এক অভ্যন্তরীণ চিঠিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
আরেকটি পৃথক নোটে মেটার মেটাভার্স বিভাগের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা গ্যাব্রিয়েল অউল ও রায়ান কেয়ার্নস লিখেছেন, সময় পিছিয়ে নেওয়াটা জরুরি ছিল। তাদের ভাষায়, ‘বেশ কিছু জটিল ফিচার একসঙ্গে তৈরি হচ্ছে। সময় খুব কম। ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতায় আমরা কোনো আপস করব না।’
দুই কর্মকর্তা জানান, চূড়ান্ত ডিভাইসটি যেন একেবারে পরিপাটি ও নির্ভরযোগ্য হয়—এটাই এখন কোম্পানির প্রধান লক্ষ্য। মেটা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিজ্ঞাপন
‘ফিনিক্স’ চশমাটি দেখতে গগলসের মতো। এটির সঙ্গে একটি আলাদা পাওয়ার প্যাক বা ‘পাক’ থাকবে। দুই কর্মী, যারা ডিভাইসটি দেখেছেন এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, চশমার নকশা অ্যাপলের ভিশন প্রোর মতো হলেও আরও হালকা। পাওয়ার প্যাক রাখা হয়েছে যাতে ডিভাইসটি গরম না হয়।
মাহের সাবা বলেন, সম্প্রতি মার্ক জুকারবার্গের সঙ্গে রিয়েলিটি ল্যাবস টিমের বৈঠক হয়েছে। জুকারবার্গ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, প্রকল্পের গতি থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো টেকসই ব্যবসায়িক কাঠামো ও মান নিশ্চিত করা।
তাই অনেক টিমকে তাদের সময়সূচি বদলাতে হবে। সাবা কর্মীদের সতর্ক করে বলেন, সময় বাড়ানো মানে নতুন ফিচার যোগ করা নয়। আগের পরিকল্পনাকেই সুচারুভাবে শেষ করাই তাদের মূল কাজ।
মেটা ২০২৬ সালে ‘মালিবু ২’ নামে আরেকটি সীমিত সংস্করণের ওয়্যারেবল আনতে চায়। এটি কী ধরনের ডিভাইস, সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য জানা যায়নি। তবে এটি মেটার নতুন এআই ও মিক্সড রিয়েলিটি ইকোসিস্টেমের অংশ বলেই ধারণা।
মেটা নতুন প্রজন্মের কোয়েস্ট হেডসেট তৈরির কাজও শুরু করেছে। অউল ও কেয়ার্নস লিখেছেন, নতুন কোয়েস্ট মূলত ইমারসিভ গেমিংয়ের জন্য তৈরি হবে। বর্তমান মডেলগুলোর তুলনায় এটি হবে বড় ধরনের আপগ্রেড। উৎপাদন ব্যয় কমাতে নতুন নকশাও ব্যবহার করা হবে।