পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার অ্যামরি আইস শেলফ নামক হ্রদের পানি চলে যাচ্ছে মহাসাগরে। ছবি : ইনডিপেনডেন্ট

অ্যান্টার্কটিকার ১১ বর্গ কিলোমিটার হ্রদ আকস্মিকভাবে উধাও হয়ে গেছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‌‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ এর এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

গবেষকরা বলছেন, অ্যান্টার্কটিকার হ্রদের পানি সেখানকার মহাসাগরের সঙ্গে মিশছে। ফলে হ্রদটির স্থানে এখন বড় একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণেই মূলত এমন ঘটনা ঘটেছে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় ‘হাইড্রোফ্র্যাকচার’।

জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্সের মূল গবেষক রোল্যান্ড ওয়ার্নার বলেন, ‘হাইড্রোফ্র্যাকচারের প্রভাবে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। কিন্তু এত দ্রুত মহাসাগরের সঙ্গে হ্রদের পানি কখনো মেশেনি।’

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হ্রদটি ছিল পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার অ্যামরি আইস শেলফ নামক স্থানে। সেখানে পানির গভীরতা ছিল দীর্ঘ। কিন্তু বর্তমানে সব পানি মহাসাগরে চলে যাচ্ছে। এর প্রভাব পৃথিবীর অন্য প্রান্তেও পড়তে পারে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যান্টার্কটিকায় এর আগেও কয়েকবার হ্রদের পানি মহাসাগরে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এত অল্প সময়ে বরফ গলে মহাসাগরে পানি যাওয়ার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।

সহকারী গবেষক হেলেন আমান্ডা ফ্রিকার বলেন, ‘স্যাটেলাইট ইমেজে এমন একটি ছবি যখন দেখছিলাম তখন আমি কিছু সময়ের জন্য হতভম্ব হয়ে গেছি। বরফ গলে মহাসাগরে পানি চলে যাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।’

এইচএকে/টিএম/এএ