অস্ট্রেলিয়ায় ফেসবুক ব্যবসায় করছে না এবং তারা দেশটির সংবাদমাধ্যম থেকে কোনো তথ্য নেয়নি। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা স্ক্যান্ডাল থেকে দায়মুক্তির জন্য ফেসবুক এমন কথা বলেছে। 

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ফেসবুকের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তথ্য চুরির অভিযোগে রায় প্রকাশ করে ফেডারেল আদালত। এর আগে মার্চে অফিস অব অস্ট্রেলিয়ান ইনফরমেশন কমিশনার (ওএআইসি) আদালতে অভিযোগ করে ২০১৪ সালের মার্চ থেকে ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার তিন লক্ষাধিক মানুষের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। 

অস্ট্রেলিয়ার প্রাইভেসি রেগুলেশন কর্তৃপক্ষ অভিযোগপত্রে বলেছে, অস্ট্রেলিয়ার গোপনীয়তা আইনের চরম লঙ্ঘন করেছে ফেসবুক। এই অভিযোগের এক মাস পর এপ্রিলে ফেসবুক তাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেছে, অস্ট্রেলিয়া থেকে তারা কখনও তথ্য নেয়নি। 

ফেসবুক সেই কথাই আবার মনে করিয়ে দিয়েছে মঙ্গলবার। ফেসবুক বলেছে, অস্ট্রেলিয়ায় তারা এ যাবৎ সময়ের মধ্যে কোনো ব্যবসায় করেনি এবং দেশটির ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কোনো তথ্য নেয়নি। 

তবে সেপ্টেম্বরে ফেসবুক আদালতে যে যুক্তি উপস্থাপন করেছিলো তা প্রত্যাখ্যান করেছে ফেডারেল কোর্টের বিচারক থমাস থাওলি। 

থমাস থাওলি বলেছেন, ফেসবুক অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তথ্য চুরি করেছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় ফেসবুক ব্যবসায়ও করেছে। 

ফেসবুক থমাস থাওলির রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল কোর্টের অধীনে পুর্নাঙ্গ বেঞ্চে আপিল করেছে। 

আপিলে ফেসবুক বলেছে, অস্ট্রেলিয়ার গোপনীয়তা আইন কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ের সঙ্গে ও দেশটির ব্যবহারকারীদের তথ্য নেয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত তা এই আপিলে জানতে চাওয়া হবে। 

এই আপিলের বিষয়ে ওএআইসি কোনো মন্তব্য করেনি। 

সেপ্টেম্বরে রেগুলেশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, আদালত এই বিষয়ে যথাযথভাবে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে এবং ফেসবুককে অভিযুক্ত হিসেবে প্রমাণ করেছে। 

এই বিষয়ে ফেসবুক কোনো মন্তব্য করেনি।

এইচএকে/এএ