সামাজিক ব্যবসায়িক যোগাযোগ মাধ্যম ‌‌‌‘রিং আইডি’। কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আইরিন ইসলাম ও শরিফ ইসলামের যৌথ উদ্যোগে ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে।

যাত্রা শুরুর দুই বছরেই গুগল প্লেস্টোরের সর্বোচ্চ ডাউনলোডের শীর্ষ দশের তালিকার প্রথমদিকে স্থান করে নেয় রিং আইডি। বিভিন্ন পরিষেবার মাধ্যমে রিং আইডি ব্যবহারকারীদের আয়ের সুযোগ তৈরি করে করছে। এর মধ্যে রিং আইডি এজেন্ট, রিং আইডি অ্যাম্বাসেডর এবং রিং আইডি ব্রান্ড প্রোমোটার উল্লেখযোগ্য। এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এজেন্ট হচ্ছেন রিং আইডির স্থানীয় প্রতিনিধি। তিনি যেকোনও গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী অর্ডারকৃত পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেন এবং রিং আইডি প্রদত্ত সব সেবা প্রদান করেন।

যে কোন রিং আইডি ব্যাবহারকারী বিনামূল্যে রিং আইডি অ্যাম্বাসেডর হতে পারেন। তিনি রিং আইডি ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া। যেকোন ব্যবহারকারী রিং আইডি স্টোর থেকে তার পছন্দ অনুযায়ী পণ্য দিয়ে তার ভার্চুয়াল স্টোর তৈরি করতে পারেন এবং ভিডিও লাইভে তা প্রোমোট করতে পারেন। কোন ব্যবহারকারী যদি তার স্টোর থেকে পণ্য ক্রয় করে, তবে স্টোর ওনার বিক্রিত পণ্যের জন্য নির্দিষ্ট সেলস কমিশন পান।

সম্প্রতি রিংআইডি ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট  টাকার বিনিময়ে রিং আইডি ব্রান্ড প্রোমোটার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এটি একটি সামাজিক শ্রম বিক্রি প্রক্রিয়া। যেখানে ব্র্যান্ড প্রোমোটারকে রিং আইডি কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব সম্পাদন করতে হয়। প্রতিটি কাজের সফল সমাপ্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দেওয়া হয়। 

রিং আইডির প্রধান নির্বাহী শরিফুল ইসলাম জানান, দুই কোটির বেশি ব্যবহারকারী নিয়ে রিং আইডি এখন এশিয়ার অন্যতম ডিজিটাল আকর্ষণ। যা প্রতি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ছে দেশ ও দেশের বাইরে। রিং আইডি সক্রিয় ও নিয়মিত ব্যাবহারকারী তৈরিতে বদ্ধপরিকর। চারটি বহুজাতিক কোম্পানি রিং আইডিতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই প্রাপ্তি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে আশা করছি।

এএ