সাড়ে ৭ হাজার তরুণের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা উন্নয়নে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকায় কারওয়ান বাজারে বেসিস কার্যালয়ে মিট দ্য প্রেসে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ভার্চুয়াল এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রকল্প এসইআইপি’র সঙ্গে বেসিস এর উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পাদন হবে। তৃতীয় পর্যায়ের এ কর্মসূচিতে প্রায় সাড়ে সাত হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণে স্নাতক সম্পন্ন করা তরুণরা অংশ নিতে পারবেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশের সম্ভাবনাময় তথ্য ও প্রযুক্তিখাতের দ্রুত দক্ষ জনবল গড়ে তোলার প্রয়াসে BASIS SEIP Tranche 3 প্রকল্প যাত্রা শুরু করেছে। তথ্যপ্রযুক্তিখাতের অগ্রযাত্রায় এই প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার।

অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, এখানে শুধুমাত্র একেবারেই ফ্রেশ/নতুন বা এন্ট্রি লেভেলের সবাইকে ট্রেনিং দেওয়া হবে না। এ সংখ্যার মধ্যে প্রায় ৮০০ জনকে উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাদের প্রাথমিক ধারণা আছে।

তিনি জানান, প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কাউকে কোনো অর্থ ব্যয় করতে হবে না। এখানে কোনো টিউশন ফি নেই। বরং উল্টো সরকারের পক্ষ থেকে কনভেন্স ফি দেওয়া হবে। কোর্স শেষে তারা সনদও পাবেন।

আলমাস কবির বলেন, করোনার আগে ২৬ লাখ শিক্ষিত বেকার ছিলেন। দক্ষতা না থাকায় কিন্তু তারা বেকার অবস্থায় ছিলেন। দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে তরুণদের বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যারা প্রশিক্ষণ নিতে পারছেন তারাই কিন্তু সফলতা পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, সব খাত মিলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ তথ্যপ্রযুক্তিতে কাজ করেন। এই দশ লাখের সংখ্যাকে আমরা দ্বিগুণ করতে চাই। যেন এই সংখ্যা বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলতে চাই।

বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং বিআইটিএ’র আহ্বায়ক ফারহানা এ রহমান বলেন, এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেসিসের সঙ্গে পরিচয় ও সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি হবে। বিশেষ করে নারীরা অনেক ভালো কিছু করার সুযোগ পাবেন। ঢাকা শহরসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। যেন সবাই সহজেই অংশ নিতে পারেন।

২০১৫ সাল থেকে এ প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৬৫ ভাগ শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।

একে/জেডএস