রাজধানীর মহাখালীর ‘ব্র্যাক ইন’-এ পিকসমেলার আয়োজনে রোববার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘ফটোগ্রাফারস মিটআপ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় হলো।

মিলনমেলায় বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সদস্যসহ দেশের প্রায় তিন শতাধিক আলোকচিত্রী উপস্থিত ছিলেন।

পিকসমেলার পক্ষ থেকে এর প্রতিষ্ঠাতা এস তামজিদ ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইফতিয়ার জাহিদ, হেড অব অপারেশন মো. শরীফুল ইসলাম ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মীর্জা বোরহান কবির উপস্থিত ছিলেন। 

পিকসমেলার প্রতিষ্ঠাতা এস তামজিদ বলেন, পিকসমেলা মানে ছবির মেলা। মেলা আমাদের সবার কাছেই উৎসবের মতো। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে আমরা পিক্সেল শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। পিক্সেল ও মেলা শব্দ দুটির সমন্বয়ে পিকসমেলা করেছি। মানুষ যেনো সহজেই অনলাইনে ছবি বাঁধাই ও প্রিন্ট করতে পারে এবং ছবি দিয়ে যেন যেকোনো পণ্যে সহজেই নকশা ও প্রিন্ট করতে পারে। এসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েই সবার ব্যবহার উপযোগী করে এই টুলস তৈরি করা হয়েছে।

সহ প্রতিষ্ঠাতা ইফতিয়ার জাহিদ বলেন, পিকসমেলার ভার্চুয়াল উদ্বোধন হয়েছিল ২৬ মার্চ। আলোকচিত্রীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্যই এবারের আয়োজন। দেশের মানুষ এখন অনলাইনেই কেনাকাটা করতে বেশি পছন্দ করেন। অন্য সব পণ্যের মতো ছবি দিয়ে যেকোনো পণ্য যেন অনলাইনে নকশা ও প্রিন্ট করা যায়, সে জন্যেই আমাদের এই টুলস।

স্বাগত ভাষণে পিকসমেলার হেড অব অপারেশন শরীফুল ইসলাম বলেন, অনলাইন প্রযুক্তির নানা দিক বিশ্লেষণ করে দীর্ঘ তিন বছর কাজ করে তৈরি করা হয়েছে পিকসমেলা। এই টুলসের জন্য যারা কাজ করেছেন, তারা প্রত্যেকেই প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ। বর্তমানে ফটো বুক, ফটো কার্ড, ফটো ফ্রেম, ফটো ক্যালেন্ডার, টি-শার্ট, মগ ও ওয়াটার পটসহ অন্যান্য পণ্য নকশা ও প্রিন্ট করা যাচ্ছে।  
 
পিকসমেলার প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মীর্জা বোরহান কবির বলেন, এই টুলস এভাবেই তৈরি করা হয়েছে যে, যেকোনো ডিজিটাল ডিভাইস থেকে সহজেই ছবি দিয়ে নকশা করা যাবে যেকোনো পণ্য। মোবাইল, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ থেকে ছবি ব্যবহার করা যাবে। ফেসবুক পেজ থেকে ব্যবহার করা যাবে। অসংখ্য ছবি ও টেমপ্লেট আছে টুলসে, যা ব্যবহার করা যাবে। এমনকি ডিজাইনের সময় যদি কিছু লেখার প্রয়োজন হয়, তাও করা যাবে। লেখার রঙ ও ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করা যাবে।  

আলোকচিত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের বাইরেও ছিল গেম শো ও পাজল গেমসহ নানা আয়োজন।  

পিএসডি/ওএফ