ভুয়া সংবাদ সরিয়ে ফেলার জন্য ব্যবহারকারীদের সাহায্য চেয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার। কোনো ধরনের অসত্য তথ্য দেখলেই ব্যবহারকারীদের তাতে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের বার্ডওয়াচ নামে একটি সংস্থা টুইটারকে নিরপেক্ষ রাখার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে। টুইটারের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতহীন থাকার জন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছে। 

টুইটার সোমবার বলেছে, ‘এই সময়ে দাঁড়িয়ে দল, মতের উর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষ থাকা কঠিন এই কথা আমরা জানি। তারপরেও আমরা আমাদের নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছি।’ 

টুইটার ছাড়া অন্যান্য বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমও নিজেদের নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছে। ব্যবহারকারীদের যদি কোনো পোস্টের তথ্য অসত্য মনে হয় তাহলে যোগাযোগ মাধ্যমটি সেই পোস্টে রিপোর্ট করার ব্যবস্থা রেখেছে। 

টুইটার বলেছে, ‘অসত্য তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে এই নতুন নীতিমালা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ব্যবহারকারীরা রিপোর্ট করে আমাদের সহযোগিতা করছে।’ 

তারা আরও বলেছে, ‘ব্যবহারকারীরা যাতে সঠিক তথ্য পায় সেই কারণে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। টুইটারে কোনো অসত্য তথ্য দেখলেই তা যেন রিপোর্ট করা হয়। এভাবে আমরা অসত্য তথ্য নির্মূল করতে পারবো।’ 

ইতোমধ্যে টুইটার একাধিক ব্যক্তিকে অসত্য তথ্য প্রকাশের জন্য ব্যান করেছে। এর মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। 

এছাড়া টুইটারে কেউ অসত্য কোনো পোস্ট লিখলে সেই পোস্ট সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টটি। বারবার কেউ অসত্য পোস্ট লিখতে থাকলে তাকে ব্যান করা হবে বলেও জানিয়েছে টুইটার। 

টুইটারের ভাইস প্রেসিডেন্ট কেইথ কোলম্যান বলেন, ‘আমরা আমাদের নিয়মভঙ্গকারীকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেবো না। যারা অসত্য তথ্য প্রকাশ করবে তাদের পোস্ট সরিয়ে নেয়া হবে এবং ক্ষেত্রবিশেষে তাকে ব্যান করা হবে।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় বলেন, ‘অসত্য তথ্য প্রকাশকারীকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি।’

এইচএকে/এএ