কলকাতার খুব কাছের একটি শহর হুগলি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম শহর। পঞ্চদশ শতকে পর্তুগীজ দস্যুরা এই শহরের গোড়াপত্তন করে। পরবর্তীতে হৃদয়হীন ও ধর্মান্ধ পর্তুগীজদের হুগলি থেকে তাড়িয়ে দেন মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর। হুগলিতে রয়েছে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান। তার মধ্যে সেরা ৫ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আজ আপনাদের বলবো- 

১. তারকেশ্বর মন্দির

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শিবের নামে উৎসর্গিত প্রাচীন মন্দির তারকেশ্বর মন্দির। মন্দিরটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। হুগলি জেলায় অবস্থিত এই মন্দির দেখার জন্য সব বয়সের মানুষ ভ্রমণ করেন। তারকেশ্বর মন্দিরে ভ্রমণের উপযুক্ত সময় মৌসুমী সময়। 

২. শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ

স্বামী বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠিত শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত। মঠটি বেলুর মঠ হিসেবে পরিচিত। মঠের নান্দনিক স্থাপত্য দেখে দর্শনার্থীরা বিমোহিত হন। মঠটি পশ্চিমবঙ্গের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ হিসেবে পরিচিত। যে অঞ্চলে এই মঠ অবস্থিত সেই অঞ্চলের মানুষ অনেক শান্তিপূর্ণ। 

৩. ব্যান্ডেল গীর্জা

ভারতের অন্যতম প্রাচীন গীর্জার নাম ব্যান্ডেল গীর্জা। ষোড়শ শতকে এই গীর্জা নির্মিত হয়। পর্তুগীজ দস্যুরা এই গীর্জা নির্মাণ করেছিলো। ব্যান্ডেল গীর্জা রোমান স্থাপত্যে নির্মিত। পশ্চিমবঙ্গে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে অনেক পছন্দের জায়গা এটি। 

৪. হুগলি ইমামবাড়া

১৮৬১ সালে দোতলাবিশিষ্ট হুগলি ইমামবাড়া প্রতিষ্ঠা করেন হাজী মহসিনউদ্দিন। ইমামবাড়া গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই স্থান তীর্থের মতো বিবেচিত হয়। এর স্থাপত্য নান্দনিক ও দেয়াল মনোরম। হুগলি ইমামবাড়া দর্শনার্থীদের কাছে অনেক পছন্দের। 

৫. হাঙ্গেশ্বরী মন্দির

হুগলির প্রত্যন্ত গ্রাম বাঁশবাড়িয়ায় হাঙ্গেশ্বরী মন্দির অবস্থিত। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবী কালীর নামে মন্দিরটি উৎসর্গিত। মন্দিরটি ৫ তলাবিশিষ্ট। হুগলির অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান এটি। সনাতন ধর্মাবলম্বী দর্শনার্থীদের হাঙ্গেশ্বরী মন্দিরে ভ্রমণ করতে দেখা যায়। 

এইচএকে/এএ