পাহাড়জুড়ে সৌন্দর্যের এক নিদারুণ খেলা চলে। সেই সৌন্দর্যকে তরান্বিত করেছে পাহাড়ের বুক চিরে বেরিয়ে আসা ঝর্ণা। এক কথায় চোখ ধাঁধানো, মন জুড়ানো। পাহাড়ি সেই ভয়ংকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঘুরে বেড়িয়েছি টানা পাঁচ দিন। থানচি থেকে আলিকদম, গিয়েছি বান্দরবানের গহীনে দুর্গম সব পাহাড়ে। দেখেছি, ডাবল ফলস আর ফাইপি ফলসের মায়াবী রূপ। পাহাড়ের চূড়ায় বসবাস করা পাহাড়িদের জীবনধারণ দেখেছি, শুনেছি তাদের টিকে থাকার গল্প, আরও কত কি...। 

১৭ আগস্ট বুধবার। ঢাকার ফকিরাপুল বাস টার্মিনাল থেকে রাত সাড়ে ৯টায় মারসা বাসে করে রওনা দিই আমরা। মোট ৬ জনের টিম নিয়ে আমাদের এই ট্যুর। তবে আমরা তিনজন ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছি, আর বাকি ৩জন কক্সবাজার থেকে এসে ১৮ অগাস্ট সকালে বান্দরবানের আলিকদম পানবাজারে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। সেখানেই আমরা সকালের নাস্তা সেরে নেই। 

এরপর এখান থেকে বাইক ভাড়া করি থানচি যাওয়ার জন্য। এসময় অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।প্রতিটি বাইকে চালক ছাড়া আরও দুইজন যাওয়া যায়। থানচি বাজার পর্যন্ত বাইক প্রতি ভাড়া ১৭শ টাকার মতো। তবে দামাদামি করে নেওয়া ভালো। গ্রুপের সদস্য সংখ্যা বেশি হলে চান্দের গাড়িতে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

বলে রাখা ভালো, এটি আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর ও রোমাঞ্চকর বাইক রাইড। পাহাড়ি আকা বাঁকা সরু রাস্তা আর স্বচ্ছ নীল আকাশ উপভোগ করতে করতে এগিয়ে চলছি আমরা। চারপাশটা ঘিরে আছে উঁচু উঁচু সবুজ পাহাড়ে। মন মাতাল করা এই সৌন্দর্য দেখতে দেখতে একটু অসতর্ক হলেই আবার ঘটতে পারে ভয়ংকর দুর্ঘটনা। তাই খুব সাবধানে বাইক চালাচ্ছেন ড্রাইভার।

থানচি বাজার পৌছতে দুপুর ২টা। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে যেতে হবে বাকলাই পাড়া। এই পাড়াতে জনসাধারণের জন্য যাওয়ার অনুমতি নেই। তাই আমরা স্থানীয়দের সহায়তা নেই। ভয়ঙ্গকর উঁচু নিচু পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যেতে হয় সেখানে। যাওয়ার সময় চারপাশের সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবেই। বাঁশের সাকো, ঝিরি পথ, খারা উঁচু রাস্তা কখনো আবার একেবারে ঢালু পথে যেতে হবে আপনাকে।

যেতে যেতে গাছের ছায়াতে মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে পারেন। সঙ্গে অবশ্যই পানির বোতল রাখবেন। নীল আকাশ আর সবুজ পাহাড় দেখতে দেখতে আপনার চোখ জুড়িয়ে আসবেই। প্রায় ৩ ঘণ্টার হাটা পথ পেরিয়ে আমরা পৌঁছে গেলাম বাকলাই পাড়া। 

পাহাড়ি এই পাড়াটি সত্যিই দারুণ, এক কথায় ছবির মতো সাজানো। এখান থেকে এবার যেতে হবে থাইক্ষ্যং পাড়া। হাটতে হবে আরও অনেকটা পথ। স্থানীয় একজনের সহায়তায় আমরা যাব থাইক্ষ্যং পাড়া। 

সব কিছু গুছিয়ে আবারও হাটা শুরু। এই পথে যাওয়ার সময় এসব গয়ালের সঙ্গে আপনারও দেখা হতে পারে। এরপর আবার ঝিরি পথ আর পাহাড়ি আকা-বাঁকা রাস্তায় আমাদের হাঁটা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে আর আমরা পৌঁছে যাই থাইক্ষ্যং পাড়া যাত্রী ছানিতে।  এটি কপিতাল পাহাড়ের নিচে। আমার বন্ধুরা তখন ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত। এখান থেকে নাকি আর মাত্র দশ মিনিট সময় লাগবে থাইক্ষ্যং পাড়া যেতে। তাই আমি ভাবলাম আগে আমি একাই রওয়ানা দিই।

গাইড ছাড়া এভাবে একা একা বেরিয়ে পড়া ছিলো আমার জন্য ভয়ংকর সিদ্ধান্ত! সেই ১০ মিনিটের রাস্তা ধরে গহীন জঙ্গলে প্রায় আধা ঘণ্টা হাঁটার পর দিশেহারা আমি। রাস্তা ফুরায় না। স্থানীয় কারো সঙ্গেও দেখা হয় না। সঙ্গে সুনসান এই পাহাড়ি জঙ্গলের বিভিন্ন পোকামাকড়ের শব্দ, পরিবেশটাকে আরও গা ছমছমে আর নাটকীয় করে তুলেছে। তখনো বুঝিনি সামনে অপেক্ষা করছে আরো বড় ধাক্কা। হঠাৎ এসে পড়লাম বিশাল এক কবরস্থানের সামনে। এক একেকটা কবর দেখেই বোঝা যায় সেগুলো বহু বছরের পুরনো খ্রিস্টানদের কবর। কয়েক মুহূর্তের ধাক্কা সামনে নিয়ে এবার মাথাটা ঠিক ঠাক কাজ করা শুরু করলো। বুঝলাম কবরস্থান যেহেতু আছে, সেহেতু নিশ্চয় আশে পাশে এবার জনবসতি পাবো।

প্রায় মিনিট পনেরো হাঁটার পড় দেখা পেলাম ছোট্ট একটি পাহাড়ি পাড়া। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানলাম, এটাই সেই থাইক্ষ্যং পাড়া। সেই মুহূর্তে পৃথিবীর সব ক্লান্তি যেনো আমার শরীরে এসে ভর করলো। 

ভেবেছিলাম টিমমেটরা পৌঁছানোর আগে ফ্রেশ হয়ে নেবো। হাত মুখ ধোঁয়ার সময় শরীরে শীতল এক বাতাস বয়ে গেল। আবছা আলোয় পাহাড়ের চূড়ার অচেনা এক পাড়ায় হিম শীতল ঠাণ্ডা বাতাসে নিজের অজান্তেই গোসলটাই সেরে নিলাম। ততক্ষণে আমার টিমমেটরাও চলে এসেছে। এবার থাকার জায়গা খোঁজার জন্য আবারো বেরিয়ে পড়তে হবে।

বেশ কিছুক্ষণ খোঁজার পর থাইক্ষ্যং পাড়ার লাল সম দাদার বাড়ীটি ভাড়া নিলাম। দাদা আমাদের প্রথমে কালারফুল মক্কা খেতে দিল। যা আমরা ভুট্টা নামে চিনি। রাতের খাবার শেষে ক্লান্ত শরীরে আর এক মুহূর্ত চোখ মেলে রাখার উপায় নিই।

১৯ অগাস্ট শুক্রবার। সকালে ঘুম ভাঙ্গে কিছুটা দেরিতে। ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা সেরে পাড়া ঘুরে দেখলাম। টয়লেটের ভালো ব্যবস্থা আছে এখানে। তারপর সকাল দশটার সময় আমরা বের হয়ে পড়ি ডাবল ফলস ঝর্ণা দেখার জন্য। যেতে যেতে ঝুম ফসল দেখলাম। আবার ট্র্যাকিং শুরু করলাম। শেষের দিকে খাঁড়া বাঁশের সিঁড়ি বেয়ে নামতে হয়েছিল আমাদের। অবশেষে প্রায় ১২টার দিকে আমরা পৌঁছে যাই সেই ঝর্নাতে। এটাই বাংলাদেশের একমাত্র ডাবল ফলস। গোছল করা, লাফালাফি, ঝাপাঝাপি, ছবি তুলা শেষে আমরা সেই ঝর্ণার পাশে কফি বানিয়ে খাই। 

দুপুর দেড় টার সময় আমরা আবার থাইক্ষ্যং পাড়া ফিরে আসি। সেখানে বাচ্চাদের খেলা উপভোগ করছিলাম। থাইক্ষ্যং পাড়ার অপার সৌন্দর্য দেখতে থাকি। কেউ কাপড় বুনছে আবার কেউ বেরিয়ে পড়ছে জীবিকার টানে। আমাদের সময়টাও যেন মিশে গেছে পাহাড়ি জীবনযাত্রায়। 

দুপুর তিন টার সময় আমরা আবার থাইক্ষ্যং পাড়া থেকে বেরিয়ে যাই ফাইপি ঝর্ণা দেখার জন্য। মেঘের খেলা দেখতে দেখতে আমরা এগিয়ে যেতে থাকি। এখানে একটা তথ্য জানিয়ে রাখা ভালো, পাহাড়ে যাবেন আর জোঁক ধরবে না, তা তো হয় না। তাই পাহাড়ে ঘুরতে বের হওয়ার সময় সঙ্গে কিছুটা লবণ রাখতে পারেন। এসময়ে বেশ কাজে দেবে। আমাকেও তিনবার জোঁক ধরেছিল। পাহাড়ে জুমের রাস্তায় হাটতে ভালই লাগছিল। ফাইপি ঝর্ণাতে পৌছতে পৌঁছতে প্রায় সন্ধ্যা। সেখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো অন্য রকম এক মুগ্ধতা। ঠিক সন্ধ্যা নামার আগে এই ঝর্ণা দেখে মনে হলো তার সৌন্দর্য পুরোটা উজাড় করে দিয়েছে। 

রাত আটটা। পাহাড়ের চূড়ায় একটা ঝুম ঘরে যাই। সেখানে বসে অনেক মজা করি। তারপর ঝুম ঘরে আমরা রান্না করি নুডুলস আর কফি। পাহাড়ের চূড়ায় ঝুম ঘরের বারান্দায় বসে বসে নুডুলস আর কফি খাওয়ার অনুভূতি বলে বোঝানো সম্ভব নয়। 

নিরাপত্তা জনিত কারণে ঝুম ঘরে থাকা নিষেধ। তাই রাত নয়টার সময় আমরা আবার থাইক্ষ্যং পাড়ার উদ্দেশে রওনা হই। রাতের বেলা পাহাড়ে হাটার এক আলাদা অনুভূতি আছে। রুমে পৌঁছে আমরা গরুর বিরিয়ানি রান্না করতে বসে যাই। বাসা থেকেই আমরা গরুর মাংসের শুটকি সঙ্গে নিয়ে যাই। সেই সঙ্গে মসলা আর পোলাও আর চাল। 

২০ আগস্ট, শনিবার। আমরা জাদিপাই পাড়া থেকে সকাল ৭ টা ২০ মিনিটে রওনা দিই। বিদাই নিই থাইক্ষ্যং পাড়া থেকে। দুপুর বারোটার সময় পৌঁছে যাই উদ্যমী জাদিপাই পাড়ায়। সেখানে আমরা আখ, পেয়ারা, লেবুর শরবত আর কলা খাই। সেখান থেকে স্থানীয় এক বন্ধুর সহায়তায় জাদিপাই ঝর্ণা দেখতে রওনা হই। আবার ট্র্যাকিং শুরু, আমি খাঁড়া এক পাহাড়ে আছাড় খেয়ে পরে যাই, আমার মোবাইল কাঁদা মাটির মধ্যে ঢুকে যায়। আমার পর আরও দুই জন পরে যায়। যদিও আমরা কেউ খুব বেশি আহত হইনি। ঝর্ণাতে যাওয়ার শেষ মূহুর্তে ৩৮৫ স্টেপস নিচে নামতে হয় সিঁড়ি বেঁয়ে। জাদিপাই ঝর্ণাটিও সত্যিই অসাধারণ। 

ঝর্ণা দেখে আমারা কেওক্রাডং এ যাওয়ার জন্য রওনা দিই। মাগরিবের আযানের সময় আমরা পৌঁছে যাই কেওক্রাডং। সেখানে আমরা আর্মি ক্যাম্পে আমাদের তথ্য দিয়ে লালাদার মেঘবাড়ি রিসোর্ট এ উঠি। মনে হচ্ছিল আমরা সত্যি বুঝি মেঘের বাড়ি বেড়াতে এসেছি। মেঘ যেনো আমাদের উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে আমরা রাতে খিচুরি রান্না করতে বসে যাই। সেই ফাঁকে তৈরি করি ঝাল মুড়ি। 

২১ আগস্ট, রবিবার। ঘুম ভাঙ্গে মেঘ আর রোদের খেলা দেখে দেখে। বারান্দার ভিউটা ছিল দারুণ। স্থানীয়দের কাছে গল্প শুনতে শুনতে মনের অজান্তেই হারিয়ে যাই পাহাড়ের গহীন অরণ্যে...।

সকালে নাস্তা করি লালাদার হোটেল থেকে। রাতেই আমাদের খাবারের অর্ডার দেওয়া ছিল। তারপর কেওক্রাডং এর ভিউ দেখতে বের হই। দুপুর একটার সময় রওনা হই বগালেক এর উদ্দেশে। পথে দার্জিলিং পাড়া থেকে পাঁচ টাকা হালি পেয়ারা কিনে খাই। পাশের দোকান থেকে খেতে পারেন মারফা, কলা, ভুট্টা, তেঁতুলের শরবত আরও অনেক কিছু। এখান থেকে নাকি নর্থ ইন্ড কফি কিনে, পাহাড়ি কফি। এখান থেকে মোবাইল চার্জ দেওয়া যাবে। প্রতি মোবাইলের জন্য নির্ধারিত হারে চার্জ দিতে হবে। আমরা এখান থেকে তেঁতুলের শরবত খেয়েছিলাম। 

আমরা আবারও হাটা শুরু করি। বাংলাদেশ আর্মির তত্বাবধানে নতুন রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে এখানে। কিছু দূর গিয়েই পেয়ে যাবেন চিংড়ি ঝর্ণা। সেখানে আমরা আবারও কফি বানাই আর নুডুলস রান্না করি। তারপর চলে যাই চিংড়ি ঝর্ণা দেখতে। সেখান থেকে আমরা সন্ধ্যা ৬ টার সময় পৌঁছে যাই বগালেক। মিঠাপানির লেকটি সমুদ্রপৃষ্ঠ ১০৭৩ ফিট উঁচু। আর্মি ক্যাম্পে আমাদের ইনফরমেশন দিয়ে আমরা সিয়াম দিদির কটেজে উঠি রাতে থাকার জন্য। প্রথমেই দিদি আমাদের চা দিয়ে আপ্যায়ন করেন। আমাদের কটেজটা ছিল একেবারে লেকের উপর। খুবই সুন্দর একটি কটেজ। রাতে বৃষ্টিতে ভিজে আমরা গোসল করি। রাতে দিদির হোটেলে খাওয়ায় যেনো কোনো কমতি ছিল না। জুম এর চালের ভাত, আলু ভর্তা, মারফা সবজির সালাত, মিষ্টি কুমড়ার তরকারি, ডাল, পেয়াজের ভর্তা, বাঁশের কোড়ল ও ডিম ভুনা। সব মিলিয়ে অমৃত। 

রাতে কটেজে পৌঁছে বারান্দায় বসে আমরা কফি বানিয়ে খাই। কফি খেতে খেতে শুরু হয় পাহাড়ের ভুতের গল্প। বগালেকের রূপকথার গল্প। মধ্যরাত গড়িয়ে যায় কিন্তু শেষ হয়না আমাদের গান গল্প।

২২ আগস্ট, সোমবার। খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার। লেকের পাড়ে গিয়ে কফি বানিয়ে খাই। তারপর লেকে গোসল করি। স্বচ্ছ পানিতে আপনি মাছও দেখতে পাবেন। গোসল করে বারান্দায় বসে শুরু হয় সুপ বানানোর কাজ। বারান্দা থেকে বগালেকের ভিউটা ছিল অসম্ভব সুন্দর। 

তারপর আমরা আবার সিয়াম দিদির হোটেলে যাই সকালের নাস্তা করার জন্য। খাবারের আয়োজন ছিল রাতের মতই। 

দুপুর ১ টার সময় আমরা বগালেক থেকে রুমা বাজারের উদ্দেশে রওনা হই চান্দদের গাড়ীতে। দুপুর আড়াইটার সময় রুমা বাজার পৌঁছে যাই। সেখানে আবার তেঁতুলের শরবত খাই। রুমা বাজার থেকে আমরা রওনা হই বান্দারবান শহরের উদ্দেশ্যে। পথে আর্মি ক্যাম্পে আমাদের ইনফরমেশন দিয়ে আমরা আবার যাত্রা শুরু করি। সন্ধ্যা সাত টায় আমরা পৌঁছে যাই বান্দারবান শহরে। সেখান থেকে টুকটাক কেনাকাটা সেরে রাত সাড়ে নয়টায় আমাদের বাস ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে। আমরা সউদিয়া সিল্কি বাসের বিজনেস ক্লাসে আসি। যেহেতু ঢাকা পৌঁছে অফিস আছে তাই আমরা কিছুটা রিলাক্সে আসতে ছেয়েছিলাম। রাতে বাসের বাফেটের খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল কুমিল্লার একটি হোটেলে। আমরা সকাল সাত টায় ঢাকা পৌঁছে যাই। পুরো ভ্রমণে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৭ হাজার টাকা। 

এবারের বান্দরবান ট্যুর এ পর্যন্তই। আগামী পর্বে নতুন কোনো গন্তব্যের কথা শোনাবে আপনাদের। সে পর্যন্ত সবাই নিরাপদে থাকুন, সুস্থ থাকুন।