বাইকের গতি ও গিয়ার ব্যবহারে সঠিক নিয়ম

বাইক চালানোর সময় গতি ও গিয়ার ব্যবহারে সঠিক সমন্বয় বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক চালকই ভুল গিয়ারে গতি বজায় রাখার ফলে ইঞ্জিনের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে ইঞ্জিন ও গিয়ারবক্সের ক্ষতি হয়। পাশাপাশি জ্বালানি খরচও বেড়ে যায়।
সঠিক গিয়ার নির্বাচন করলে বাইক মসৃণভাবে চলে, ইঞ্জিন কম চাপে থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদে ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে ১০০ থেকে ১৫০ সিসির মোটরসাইকেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হলেও চালকদের বড় একটি অংশ এখনও সঠিক গতি অনুযায়ী গিয়ার পরিবর্তনের নিয়ম মানেন না। অনেকে সময় উচ্চ গিয়ারে ধীরে বাইক চালান বা কম গিয়ারে উচ্চ গতিতে বাইক চালান, যা ইঞ্জিনের জন্য মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনে।
অথচ, নিয়ম মেনে গিয়ার ব্যবহার করলে বাইক মসৃণভাবে চলে, ইঞ্জিন কম চাপে থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদে ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়।
চলুন জেনে নেয়া যাক বাইকের গতি ও গিয়ার ব্যবহারে সঠিক নিয়ম সম্পর্কে-
বিশেষজ্ঞদের মতে,১০০-১৫০ সিসির বাইকের জন্য উপযুক্ত গতি-গিয়ার কম্বিনেশন তুলে ধরা হলো: ০-১৫ কিমি/ঘণ্টা গতির জন্য ১ম গিয়ার, ১৫-৩০ কিমি/ঘণ্টায় ২য়, ৩০-৪৫ কিমি/ঘণ্টায় ৩য়, ৪৫-৬০ কিমি/ঘণ্টায় ৪র্থ এবং ৬০ কিমি/ঘণ্টার বেশি হলে ৫ম গিয়ার ব্যবহার করা উচিত।
এ রেঞ্জ মেনে না চললে ইঞ্জিন চাপে পড়ে, গিয়ার কিক ব্যাক করে এবং মাইলেজ কমে যায়। নতুন বাইকের ক্ষেত্রে প্রথম ২,০০০ কিমি পর্যন্ত রানিং ইন পিরিয়ডে গতি-গিয়ার নিয়ম বিশেষভাবে মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী।
শুধু তাই নয়, ভুল গিয়ারে চালালে বাইক বারবার থেমে যাওয়া, অতিরিক্ত কম্পন বা স্টার্ট নিতে সমস্যা করতেও দেখা যায়। এই ছোট ছোট অভ্যাসের পরিবর্তনই বাইকের স্থায়ীত্ব বাড়াতে পারে অনেকগুণ।
বিশেষ করে শহরের ভীড়ভাট্টা ও ঘন ট্রাফিকের ভেতর সঠিক গিয়ারের ব্যবহার চালকের দক্ষতাও তুলে ধরে।
বাইক চালানোর সময় শুধু গতি নয়, গিয়ারও হোক আপনার নিয়ন্ত্রণে। কারণ, সচেতন বাইকার মানেই নিরাপদ রাইড এবং দীর্ঘস্থায়ী বাইক।
এমবি /এনএইচ