যেসব ভুলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে

সড়কপথে মোটরসাইকেল একটি জনপ্রিয় বাহন হলেও, চালকদের কিছু সাধারণ ভুল এটিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। সামান্য অসতর্কতা বা অবহেলা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, যা কেড়ে নিতে পারে চালক বা পথচারীর জীবন। চলুন জেনে নিই, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পেছনের প্রধান কারণগুলো।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত গতিতে চালানো। অনেক চালক, বিশেষ করে তরুণরা, দ্রুতগতিতে বাইক চালানোকে দক্ষতা মনে করেন। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে রাস্তায় কোনো বাধা (যেমন: গর্ত, স্পিড ব্রেকার, হঠাৎ পারাপারকারী মানুষ বা রিকশা) এলে উচ্চগতির কারণে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে, যা ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্ম দেয়।
সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ট্রাফিক আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু অনেক মোটরসাইকেল চালক এই নিয়মগুলো মানেন না। একমুখী রাস্তায় উল্টো দিকে চালানো, সিগন্যাল অমান্য করা, মোড় ঘোরার সময় ইন্ডিকেটর ব্যবহার না করা ইত্যাদি মারাত্মক ভুল শুধু নিজের জন্য নয়, রাস্তার অন্যদের জন্যও বিপদ ডেকে আনে।
দুর্ঘটনায় সবচেয়ে মারাত্মক আঘাত লাগে মাথায়, যা মৃত্যু বা স্থায়ী পঙ্গুত্বের কারণ হতে পারে। হেলমেট এই ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। তবুও অনেক চালক হেলমেট পরাকে বোঝা মনে করেন। শুধু হেলমেট নয়, নিরাপদ পোশাক, জুতো এবং গ্লাভসও চালকের সুরক্ষা বাড়াতে সাহায্য করে।
নতুন চালকদের মধ্যে প্রায়শই অল্প সময়েই এক ধরনের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস জন্মায়। তারা মনে করতে শুরু করেন যে যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো দক্ষতা তাদের হয়ে গেছে। এই 'আমি সব পারি' মানসিকতা থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ড্রাইভিং, স্টান্টবাজি বা রেসিংয়ের মতো বিপজ্জনক প্রবণতা দেখা দেয়, যার শেষ পরিণতি হতে পারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
মনে রাখা জরুরি, একটু সচেতনতা এবং এই ভুলগুলো এড়িয়ে চলার মাধ্যমে বহু অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিজের এবং অন্যের জীবন রক্ষায় সতর্কতার সাথে মোটরসাইকেল চালানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
এমআইকে