মোটরসাইকেল চালানোর ১০ পরামর্শ : নিরাপদ থাকতে যা করতেই হবে!

মোটরসাইকেল চালানো যেমন স্বাধীনতা আর রোমাঞ্চের প্রতীক, তেমনই এটি ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে যদি না চালক প্রয়োজনীয় সতর্কতা গ্রহণ করেন। যানজটে ভরা শহরের রাস্তায় হোক বা নির্জন রাতের মহাসড়কে, সবসময় প্রস্তুত আর সচেতন থাকা একজন চালকের সবচেয়ে বড় সুরক্ষা।
চলুন জেনে নেওয়া যাক মোটরসাইকেল চালানোর ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
১. হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক
দুর্ঘটনার সময় মাথায় আঘাতের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। তাই ডট (DOT) বা ইসিই (ECE) সার্টিফাইড হেলমেট পরা উচিত, যা ভালোভাবে ফিট করে। বড় কোনো ধাক্কা লাগলে বা প্রতি পাঁচ বছর পর হেলমেট বদলান।
২. শুধু হেলমেট নয়, পূর্ণাঙ্গ গিয়ার ব্যবহার করুন
হেলমেটের পাশাপাশি রাইডিং গ্লাভস, বুট এবং আর্মারসহ জ্যাকেট পরা জরুরি। এসব আপনার শরীরকে রক্ষা করে দুর্ঘটনা ও আবহাওয়ার ধকল থেকে।
৩. বাইক চালানোর আগে যাচাই-বাছাই করুন
প্রতিবার বাইকে ওঠার আগে চাকা, ব্রেক, লাইট, তেল ও আয়না পরীক্ষা করুন। ছোটখাটো ত্রুটি থেকেও বড় দুর্ঘটনা হতে পারে।
৪. দৃশ্যমান থাকুন
রাতে বা ধুলাবালিময় রাস্তায় অন্যান্য গাড়ি চালকরা বাইক সহজে দেখতে পান না। উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরুন, হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন এবং অদৃশ্য জায়গা এড়িয়ে চলুন।
৫. ট্রাফিক আইন মানুন
সিগনাল দিন, নির্ধারিত গতি বজায় রাখুন। লেন পরিবর্তনের সময় সতর্ক থাকুন। যতই তাড়াহুড়ো থাকুক, নিয়ম লঙ্ঘন করলেই বিপদ।
৬. আত্মরক্ষামূলকভাবে চালান
ধরে নিন, অন্য গাড়ির চালক আপনাকে দেখছে না। বড় যানবাহনের পাশে অতিরিক্ত সতর্ক থাকুন।
৭. খারাপ আবহাওয়ায় বাইক চালানো এড়িয়ে চলুন
বৃষ্টি, কুয়াশা বা পিচ্ছিল রাস্তায় খুব সাবধানে চলুন। হেলমেটের অ্যান্টি-ফগ গ্লাস ও জলরোধী পোশাক পরে নিন।
৮. কর্নারিং ও ব্রেকিং-এ দক্ষতা অর্জন করুন
বেশিরভাগ দুর্ঘটনা হয় বাঁক নেয়ার সময় বা হঠাৎ ব্রেক করার সময়। আগেভাগে গতি কমান এবং চোখ রাখুন সামনে।
৯. মাদক বা ওষুধ খেয়ে চালাবেন না
মাদক, এলকোহল বা ঘুমের ওষুধ খেয়ে চালালে প্রতিক্রিয়া ধীর হয়। এটি শুধুমাত্র অবৈধ নয়, মারাত্মক বিপজ্জনকও।
১০. সেফটি কোর্সে অংশ নিন
নতুন চালক হোন বা অভিজ্ঞ— একটি মোটরসাইকেল সেফটি ট্রেনিং আপনাকে জরুরি রেসপন্স, ঝুঁকি সনাক্তকরণ ও দুর্ঘটনা এড়াতে সহায়তা করবে।
মোটরসাইকেল চালানো জীবনের এক অসাধারণ অনুভূতি। কিন্তু প্রতিটি যাত্রা নিরাপদ রাখতে আপনাকে হতে হবে সচেতন।