৩৮ বছরেই নেতৃত্ব আকাশে : বোয়িং ৭৭৭ বিমান ওড়ান ক্যাপ্টেন শারহান

ইঞ্জিন হলো বিমানের হৃদয়, কিন্তু আত্মা পাইলট। ক্যাপ্টেন শারহান আলী যেন সেই আত্মারই রূপ। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর-এর ক্যাপ্টেন হয়েছেন তিনি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সবচেয়ে কম বয়সে এই মর্যাদাপূর্ণ পদের অধিকারী হয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সংস্থাটির জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তার এই সাফল্য শুধু একজন পাইলটের অর্জন নয় বরং এভিয়েশন ইতিহাসে এক সাহসী এবং প্রেরণাদায়ক অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এগিয়ে যাওয়ার এ যাত্রা শুরু হয়েছিল উত্তরাধিকার সূত্রে। তার দাদা ক্যাপ্টেন সিকান্দার আলী ছিলেন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। বাবা ক্যাপ্টেন শোয়েব আলী ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দীর্ঘমেয়াদি অভিজ্ঞ পাইলট। শারহান সেই গর্বের ধারা বজায় রেখেছেন নিষ্ঠা আর কঠোর পরিশ্রমে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ক্যাপ্টেন শারহানের আকাশপথে যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবে। যেখানে তিনি সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের (ক্যাব) অধীনে সিপিএল ও এটিপিএল লাইসেন্স অর্জন করেন। এখন পর্যন্ত তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৩০০ ঘণ্টারও বেশি ফ্লাইট অভিজ্ঞতা। তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে রয়েছে ড্যাশ-৮, ফকার-২৮, এয়ারবাস-৩১০, বোয়িং ৭৩৭, বোয়িং ৭৭৭ এইসব আধুনিক বিমান পরিচালনোর দক্ষতা। ২০০৮ সালে একটি প্রাইভেট এয়ারলাইন্সে পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। মাত্র ২৪ বছর বয়সে মাত্র ৫০০ ঘণ্টার ফ্লাইট সময় নিয়ে তিনি যোগ দেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে—যেখান থেকে শুরু হয় এক অনন্য উত্থানের গল্প।
এছাড়া, তার ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য অধ্যায়গুলোও অনুপ্রেরণাদায়ক উল্লেখ করে আরও বলা হয়েছে, বোয়িং ৭৭৭-এ ফার্স্ট অফিসার হিসেবে ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনা, ভিয়েতনাম থেকে মিশর পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার টানা ফেরি ফ্লাইট সফলভাবে সম্পন্ন করা, কিংবা সিত্রাং ও রেমাল-এর মতো ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও সাহসিকতার সঙ্গে উড়োজাহাজ পরিচালনা করা। সেই সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর-এর ক্যাপ্টেন হিসেবে ক্যাপ্টেন শারহানের প্রথম যাত্রা শুধু এয়ারলাইন্সের জন্য নয়, বরং পুরো জাতি এবং আন্তর্জাতিক এভিয়েশন জগতের জন্যও এক গর্বের মুহূর্ত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
আরএইচটি/এমএন