প্রথমবারের মতো নাইট রান আয়োজন করছে ডিইউআরসি

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাফ ম্যারাথন, ম্যারাথন, আল্ট্রা রানের পাশাপাশি নাইট রানকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ‘নাইট রান’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি রানার্স কমিউনিটি (ডিইউআরসি)। আগামীকাল (১৪ এপ্রিল) এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন দেশের ৫৫ জন রানার্স। ১০ কিলোমিটারের এ ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে হাতিরঝিলে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি রানার্স কমিউনিটির অ্যাডমিন এবং প্রতিযোগিতার রেস ডিরেক্টর মো. ইসতিয়াক উদ্দিন।
এ সময় তিনি জানান, সকল রানার পূর্বনির্ধারিত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের সামনে রিপোর্ট করবেন। পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের সামনের জায়গাটি হবে ইভেন্টের স্টার্টিং পয়েন্ট। সকল রানার রিপোর্ট করার পর আয়োজকরা বিব নম্বর বিতরণ করে দেবেন। রাত ১২টায় রান শুরু হবে। রানাররা স্টার্টিং পয়েন্ট থেকে নির্দিষ্ট ট্র্যাকের দিকে ৫ কিলোমিটার রান করে পুনরায় স্টার্টিং পয়েন্টে আসবেন। এভাবে দুইটি লুপে শেষ হবে ১০ কিলোমিটার রান। প্রত্যেক রানারকে পুরো ট্র্যাকের ধারণা দিয়ে দেবে আয়োজকরা।
ইভেন্টে কোনো প্রাইজমানি বা পোডিয়াম থাকবে না। প্রত্যেক রানারকে উল্টো পথে হাতের বাঁ দিকে থেকে একজন/দুজন করে পেছনে পেছনে রান করতে বলা হচ্ছে। রানিংয়ের মাঝে ট্র্যাকজুড়ে রানারদের প্রাণবন্ত রাখতে, উৎসাহ এবং সহযোগিতা করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভলান্টিয়ার থাকবে। ভলান্টিয়ার সাপোর্টের পাশাপাশি রানারদের জন্যে হাইড্রেশন সাপোর্ট দেওয়া হবে। হাইড্রেশন হিসেবে থাকবে খেজুর, কমলা, স্যালাইন, গ্লুকোজ, পিনাট বার, পর্যাপ্ত পানি ইত্যাদি। এছাড়া মেডিকেল সাপোর্ট হিসেবে থাকবে প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্প্রের ব্যবস্থা।
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, পুরো ১০ কিলোমিটার ট্র্যাকে রানারদের জন্যে শতভাগ নিরাপত্তা থাকবে। এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানাকেও অবহিত করা হয়েছে। তবে বাসা থেকে রেস গ্রাউন্ড পর্যন্ত আসা যাওয়ার মাঝে কোনো রানার অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার শিকার হলে সেটার দায় কোনোভাবেই ডিইউআরসি নেবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান রানা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুক্তার হোসেন এবং মো. চঞ্চল মিয়া।
এইচআর/এসকেডি