এবার চবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ডাক

বিভিন্ন বিভাগের চলমান পরীক্ষা স্থগিত করার প্রতিবাদে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় গণমাধ্যমকে পরীক্ষা স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্থগিতের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রশ্ন তুলে বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তই যদি মানতে হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বলা হয় কেন? তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আন্দোলন করবেন শিক্ষার্থীরা।
বিষয়গুলো হলো- চবির চলমান পরীক্ষা স্থগিত না করা, পরীক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল খোলা এবং শাটল ট্রেন চালু না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু করা।
শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে এরকম প্রহসন মেনে নেওয়া যায় না উল্লেখ করে স্নাতক শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নির্বিঘ্নে দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এসেছে। প্রশাসন তা মানেনি, উল্টো এখন পরীক্ষা স্থগিত করছে। দাবি আদায় করে নেওয়ার জন্য আমরা আরও জোরালোভাবে কর্মসূচি পালন করব।
দুই বছর পর প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আল আমিন সিফাত তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, আমি অঙ্গীকারনামা দিয়েছিলাম হল, খাওয়া দাওয়া এবং অসুস্থ হলে এর দায়ভার আমার! তবুও আমার পরীক্ষা বন্ধ কেন? জাবাব চাই চবি প্রশাসনের কাছে?
রমজান হোসেন নামে আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, খুলনা থেকে আসা যাওয়ার পরিবহন খরচ ও এক মাসের রুম ভাড়ার টাকা দয়া করে দিয়ে দিন। পরীক্ষার জন্য ২০ ঘণ্টা জার্নি করে ক্যাম্পাসে আসা, বাসা ভাড়া নেওয়া আবার পরীক্ষা না দিয়ে কষ্ট করে বাড়ি ফিরে যাওয়া এগুলো বোঝার মতো ক্ষমতা আপনাদের হয়নি!
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও অঙ্গীকারনামা নিয়ে বিভিন্ন অনুষদের পরীক্ষা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
এসপি