ছাত্র অধিকারের নেতাদের মারধর : ক্ষমা চাইলেন ছাত্রলীগ কর্মীরা

Dhaka Post Desk

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাবি

২২ আগস্ট ২০২২, ০৪:৪৪ পিএম


ছাত্র অধিকারের নেতাদের মারধর : ক্ষমা চাইলেন ছাত্রলীগ কর্মীরা

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। সোমবার (২২ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ক্ষমা চান তারা।

এসময় জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীরা ছাড়াও ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং মানবাধিকার বিষয়ক শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম ‘স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চার’ (স্যাট) এর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির সামনের ফুটপাতে ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার দুজন হলেন— ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার দপ্তর সম্পাদক সালেহউদ্দিন সিফাত, অর্থ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান। তারা একইসঙ্গে মানবাধিকার বিষয়ক শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম ‘স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চার’ (স্যাট) এর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও আছেন।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ৩ নেতাকে পেটাল ছাত্রলীগ

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন— আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিল তুষার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের হেদায়েত উল্লাহ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইত্তেজা হোসেন রাকিব, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মাসুরুর রুদ্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সুমন আলী, এফ রহমান হল ছাত্রলীগ কর্মী রোকনুজ্জামান রোকন। সংবাদ সম্মেলনে এদের সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ কর্মীদের পক্ষে কথা বলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইত্তেজা হোসেন রাকিব। তিনি বলেন, আমাদের এক বন্ধুকে মারধর করা হচ্ছে— এমন মিস ইনফরমেশন পেয়ে আমরা সেখানে যাই এবং অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে উনাদের আঘাত করে বসি। আমরা ইচ্ছেকৃতভাবে এমনটা করিনি। এর দায় সম্পূর্ণ আমাদের, ছাত্রলীগের নয়। ছাত্রলীগ থেকে আমাদের আদেশ করা হয়নি, আমরা ব্যক্তি উদ্যোগে মারধরের ঘটনায় জড়িয়েছি। আগামীতে এসব কাজ থেকে আমরা বিরত থাকব।

স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চারের (স্যাট) প্রতিনিধি আনাস ইবনে মুনির বলেন, আমাদের হেড অব ডিরেক্টরস সালেহ উদ্দিন সিফাত ও ডকুমেন্টেশন ডিরেক্টর আহনাফ সাঈদ খানের ওপর তারা অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় দুজনই ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসা নিয়েছেন। আমরা এ ঘটনায় মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু অভিযুক্তরা তাদের দোষ স্বীকার করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন কিছু না করার কথা দেওয়ায় আমরা মামলা করা থেকে বিরত থাকছি।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, এটি একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে এবং ক্ষমা চেয়েছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে তারা তো নয়, বরং কোনো ছাত্রলীগ কর্মী ক্যাম্পাসের কোনো শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন করবে না। আমরা চাই ক্যাম্পাসে সব শিক্ষার্থী সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করুক এবং সহ অবস্থান নিশ্চিত হোক। ছাত্র অধিকার পরিষদ সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের রাজনীতি করে‍।

এইচআর/এসএসএইচ

Link copied