পদবঞ্চিতদের মূল্যায়নের দাবি চবি ছাত্রলীগের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে ত্যাগী পদবঞ্চিতদের মূল্যায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্স, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, একাকার, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কার নেতাকর্মীরা অংশ নেন। প্রতিটি গ্রুপই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
মানববন্ধন থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন তারা। দাবিগুলো হলো- পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তকরণ, কমিটিতে পদপ্রাপ্ত নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী যোগ্যস্থানে ক্রমানুসারে পুনর্মূল্যায়ন করা, বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়দের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব দাবি মেনে নেওয়া না হলে পরবর্তীতে সহিংস আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও রেড সিগনাল গ্রুপের নেতা রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, গত ৩১ জুলাই রাতে চবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। উক্ত কমিটিতে রাজপথের পরীক্ষিত ও ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে অযোগ্য ও বিতর্কিত অনেককে স্থান দেওয়া হয়েছে। যা সংগঠনকে ভবিষ্যতে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দেবে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নিকট আমাদের আকুল আবেদন আমাদের দাবিগুলো বিবেচনা করে যথাযথ সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
বাংলার মুখ গ্রুপের নেতা আবু বকর তোহা বলেন, দীর্ঘদিন মাঠে ঘাম ঝরানো, ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা এর আগে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ওপর অনাস্থা জানিয়েছিলাম। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নিকট অযোগ্যদের বাদ দিয়ে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের জন্য বিভিন্নভাবে দাবি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদের দাবি মেনে না নিলে ভবিষ্যতে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, কমিটিতে যে জীবনেও রাজনীতি করেনি, সেও পদ পেয়েছে। আবার চবির ছাত্রও নয়, এমনও একজন পদ পেয়েছে এবং সে জানিয়েছে সে কীভাবে পদ পেয়েছে সে নিজেই জানে না। এছাড়াও বিবাহিত, চাকরিজীবীরাও পদ পেয়েছে। অন্যদিকে যারা ত্যাগী, যোগ্য এবং আসলেই পদের দাবিদার তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এ দায় কিন্তু শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার উপরেই বর্তায়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতি আমাদের দাবি থাকবে অযোগ্যদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হোক।
তিনি আরও বলেন, আমরা এতদিন অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছিলাম। আমাদের দাবি পূরণ না হলে সহিংস আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
রুমান/এনএফ