কুবি কর্তৃপক্ষের ভুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন শেষ মিতুর

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কর্তৃপক্ষের ভুলের খেসারত দিতে হলো কামরুন্নাহার মিতুকে। তিনি গুচ্ছভুক্ত ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বষের্র ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করলেও ভর্তি হতে পারেননি। কর্তৃপক্ষের মেধা তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশের ভুলের কারণে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে।
মিতু জানান, গত ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ‘বি’ ইউনিটের প্রথম মেধাতালিকা (আট পৃষ্ঠার পিডিএফ ফাইল) বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ডাউনলোড করে নিজের নাম না পেয়ে দ্বিতীয় তালিকার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশের পর, সেটি ডাউনলোড করতে গিয়ে প্রথম তালিকায় নিজের নাম খুঁজে পান মিতু। কিন্তু ততদিনে প্রথম তালিকার ভর্তির সময় শেষ হয়ে গেছে। পরে দুটি তালিকা নিয়ে যোগাযোগ করলেও তার ভর্তি নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এসে ইউনিট প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আওয়াল চৌধুরী তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। তালিকা প্রকাশে অফিসের ভুল নেই জানিয়ে তিনি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড নিয়ে তাকে জেরা করেন। সে অনিয়ম করে ডিন অফিসকে ফাঁসাতে চাচ্ছি বলে অভিযোগ তোলেন ডিন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা পঞ্চম পৃষ্ঠা বাদ দিয়ে প্রথম মেধা তালিকা ওয়েবসাইট প্রকাশ করেন। পরে আগের ফাইল ডিলিট করে সংশোধিত ফাইল আপলোড করেন, যা মিতু দেখেননি। কর্তৃপক্ষও সংশোধনের বিষয়ে কোনো নোটিশ দেয়নি। বাদ পড়া পৃষ্ঠায় মিতুসহ ৪২ শিক্ষার্থীর নাম ছিল।
এ বিষয়ে ‘বি’ ইউনিটের আহ্বায়ক এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী বলেন, প্রথম আপ করা পিডিএফ ফাইলে অনিচ্ছাকৃতভাবে একটি পৃষ্ঠা বাদ পড়ে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই সংশোধিত ফাইল আপলোড করা হয়।
আইসিটি সেলের ডাটাবেজ প্রোগ্রামার মাসুদুল হাসান জানান, তারা সন্ধ্যা ৬টায় মেধা তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন। তবে দুটি ফাইল প্রকাশের মাঝে কত সময় গেছে তা জানাননি তিনি।
তবে মিতুর দাবি, তিনি রাত ৮টায় পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিজের নাম না পেয়ে দ্বিতীয়টির অপেক্ষায় ছিলেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক এএফএম আবদুল মঈনের সাথে কথা বলতে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক বলেন, আমি এককভাবে সিদ্ধান্ত দিতে পারব না। উপাচার্যদের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে
আরকে