কুয়াশা-বৃষ্টিতে ভিন্ন এক নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়

কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। আবার কিছুটা জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে পড়তে থাকে ফোঁট ফোঁটা কুয়াশা বিন্দু।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা থেকেই বইতে শুরু করে ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশা পড়া। এ যেন কুয়াশা-বৃষ্টিতে ভিন্ন এক নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। কুয়াশার কারণে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া যাচ্ছে না। এক ভবন থেকে অন্য ভবনের দেখা মিলছে না। হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
রিপন চন্দ্র শীল নামের এক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুয়াশায় এক থেকে অন্য হাত দেখা যায় না। সঙ্গে বৃষ্টিও হচ্ছে।
ফুয়াদ মাহমুদ নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুয়াশায় মোটরসাইকেলে নিয়ে বাড়ি ফিরতে অসুবিধা হচ্ছে। সামনের কিছুই দেখা যায় না। পুরো শরীর ভিজে গেছে। দেখলে মনে হবে আমি গোসল করেসি।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ জি এম মামুনুর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, তাপমাত্র আরও কমতে পারে বলে ধারণা হচ্ছে। হতদরিদ্র নিম্ন আয়ের মানুষজনও আয়-রোজগার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুয়াশা ঘেরা ক্যাম্পাস দেখতে খুব ভাল লাগছে। এই কুয়াশা উপভোগ করার মতো। যেনো রাতের সৌন্দর্য বহুগুণে বেড়ে গেছে।
নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই শীতে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ঠান্ডা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
হাসিব আল আমিন/এসএম