গবেষণা-উচ্চশিক্ষার প্রসারে ৪ পেরিয়ে সিইউআরএইচএস

উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার প্রসারে কাজ করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্ট্যাডি সোসাইটি (সিইউআরএইচএস)। এরই মধ্যে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার ৪ বছর পার করেছে। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘর প্রাঙ্গণে বেলা ১১টায় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সিইউআরএইচএস এর প্রতিষ্ঠাতা তাকবীর হোসেন বলেন, আমরা একসঙ্গে যা অর্জন করেছি তার জন্য আমি গর্বিত। একটি গবেষণা সংস্কৃতি গড়ে তোলার মাধ্যমে আমাদের দল ক্যাম্পাসে এবং সারা দেশে একটি বিপ্লব এনেছে। তরুণদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা বিশ্বে স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারি এবং সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের সদস্যদের তাদের কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অবদানের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা না থাকলে আমরা আমাদের যা কিছু আছে তা অর্জন করতে পারতাম না। আমি আশা করি যে, তারা একই আবেগ এবং প্রতিশ্রুতি ভাগ করে ইতিবাচক পরিবর্তন এবং আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি পার্থক্য তৈরি করবে। সামনের দিনগুলোতে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাবে এই সংগঠন। 

সিইউআরএইচএস এর সভাপতি মাহমুদ শরীফ বলেন, সেই ছোট্ট একটি ফেসবুক ল গ্রুপ থেকে বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার সদস্যের পরিবারে পরিণত হয়েছে সিইউআরএইচএস। দীর্ঘ ৪ বছরে আমরা ক্রমাগত পরিবর্তন ও উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে আজকের এই অবস্থানে এসেছি। এই সংঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যারা কাজ করে আসছে এবং সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন সকলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ । সংগঠনের সদস্যদের ও অন্যদের ভালো খবর শুনলে আমাদের ভালো লাগে। 

অনুষ্ঠানে সিইউআরএইচএস এর এক্সিকিউটিভ মেম্বার ও জেনারেল মেম্বারসহ প্রায় ৬০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ব্যক্ত করেন। ছবি তোলা এবং কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

প্রসঙ্গত, চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্ট্যাডি সোসাইটি ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি গবেষণা ও উচ্চশিক্ষামূলক বিভিন্ন সেশন, সেমিনার, কর্মশালা, প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। সংগঠনটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের শিক্ষাঙ্গনে গবেষণা কার্যক্রম প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে।

রুমান/এমএএস