ঢাবিতে র্যাগিং বিরোধী কাউন্সিলিং শুরু
বুলিং এবং র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা এবং প্ররোচনায় র্যাগিং এ জড়িয়ে পড়া থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সচেতনতামূলক র্যাগিং বিরোধী কাউন্সিলিং শুরু হয়েছে।
রোববার (১৪ মে) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের (আইইআর) উদ্যোগে শুরু হয় এ কার্যক্রম। চলবে আগামী ১৮ মে পর্যন্ত।
আইইআরের শিক্ষকরা জানান, শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই কাউন্সিল কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে। স্নাতক প্রথম বর্ষ থেকে শুরু মাস্টার্সে অধ্যয়নরত প্রতিটি বর্ষের শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা এই কাউন্সিলি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইনিস্টিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের জন্য গঠন করা হয়েছে নতুন কমিটি। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ব্যাচ ভিত্তিক কাউন্সিলিং প্রোগ্রাম যেমন, বুলিং এবং র্যাগিং বিরোধী প্রচারণা, বিষয়ভিত্তিক প্রেজেন্টেশন এবং সেমিনারের আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সহায়তায় রাখা হয়েছে গাইডেন্ড অ্যান্ড কাউন্সিলিং সেল। স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজার হিসেবে শিক্ষার্থীদের সেবা দেবে চারজন মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের এই কাজ এখনও পরিক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারলেই তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগ এবং ইনিস্টিউটকে এমন কর্মসূচি হাতে নেওয়ার পরামর্শ দেব। তবে আমরা আশাবাদী এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা সবাইকে সচেতন করে র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে পারব।
আইইআর প্রশাসনের এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান বলেন, আমরা অনেক সময় না বুঝেই র্যাগিংয়ের সাথে জড়িয়ে যাই। তবে আইইআরের এই উদ্যোগের মাধ্যমে র্যাগিং সম্পর্কে নিজেদের সচেতন করতে পেরেছি। আশা করি এর মাধ্যমে র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস তৈরিতে একধাপ এগিয়ে যাবে। এমন উদ্যোগের জন্য আইইআরকে ধন্যবাদ জানাই।
এইচআর/এমএ
