গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নিরপেক্ষ পুলিশের বিকল্প নেই: তরিকুল ইসলাম

ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেছেন, সরকার পুলিশকে ব্যক্তিগত চাকরে পরিণত করেছে। নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা পুলিশকে ব্যবহার করে যাচ্ছে, নিজেদের পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করেছে। তাই, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে নিরপেক্ষ পুলিশ তৈরির বিকল্প নেই।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন সময় পুলিশের হামলার ঘটনা তুলে ধরে এ ছাত্রনেতা বলেন, গত শনিবারের পুলিশি হামলা নতুন ঘটনা নয়। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিলে পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেই অমানবিক নির্যাতন করেছিল সেটা আমরা আজও ভুলিনি। পুলিশ বিজয় একাত্তর হলের রুমে রুমে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করেছিল। আমরা দেখেছি নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে, মোদি বিরোধী আন্দোলনে, চাকরির বয়স বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনকারীদের উপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে পুলিশ।
পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি- প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ পুলিশের টর্চারে মারা যাচ্ছে। রাজধানীর হাতিরঝিলে এক ছেলেকে পুলিশ টর্চারে হত্যা করা হয়, উত্তরায় এক মোটরসাইকেল চালককে হত্যা করা হয়, জনি নামের ছেলেকে পল্লবী থানায় নিয়ে টর্চার করে হত্যা করা হয়, চট্টগ্রামে ৬০ বছরের বৃদ্ধকে পুলিশি নির্যাতনে হত্যা করা হয়।
কারাবন্দি সকল রাজনৈতিক নেতার মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি- খাদিজা যিনি কী না অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী শিক্ষার্থী, সরকারবিরোধী প্রশ্ন করায় তাকে গত এক বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে। কিছুদিন আগে ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের বাসা থেকে সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে। আমরা অবিলম্বে কারাবন্দি সকল শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
পুলিশকে জনগণের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই সেই এডিসি হারুন- যিনি কী না শাহবাগ থানায় রিমান্ডরত ছাত্রনেতার মুখে মরিচ ঢেলেছিল। এরপর গত শনিবার ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা বলতে চাই- আমরা পুলিশের বিপক্ষে না। আপনারাও কোনো দল বা ব্যক্তির পক্ষে থাকবেন না। আপনারা জনগণের ট্যাক্সে চলেন তাই আমরা চাই আপনারা জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন।
পুলিশি নির্যাতন বন্ধ এবং খাদিজা ও বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ আটককৃত ছাত্রনেতাদের মুক্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- বিন ইয়ামিন মোল্লার বাবা মাওলানা রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, তিতুমীর কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান প্রমুখ।
এমজে