জবি অধ্যাপকদের থেকে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ চেয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামলউদ্দীন আহমেদকে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অধ্যাপকদের মধ্য থেকে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা। গত ২৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী বরাবর এ চিঠি দেয় শিক্ষক সমিতি।
চিঠিতে শিক্ষক সমিতি উল্লেখ করেছে, আগামী ২৬ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমেদের মেয়াদ শেষ হবে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে অবসর গ্রহণ করেছেন। এদিকে জবিতে বর্তমানে গ্রেড-১ পদে ৩৬ জন, গ্রেড-২ পদে ৪৬ জন এবং গ্রেড-৩ পদে ৭৪ জন মিলিয়ে সর্বমোট ১৫৬ জন অধ্যাপক কর্মরত আছেন। এর মধ্যে দুজন অধ্যাপককে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে এবং দুজন অধ্যাপককে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন এবং তারা সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও প্রাইভেট বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সমিতির সদস্যরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান, কর্মরত অধ্যাপকদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে এবং উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার স্বার্থে অনতিবিলম্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত সৎ এবং প্রশাসনিক ও গবেষণায় অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মধ্য থেকে গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা সাপেক্ষে যেকোনো একজনকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দানের জন্য সরকারের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করার ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে মত প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অধ্যাপকদের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করে শিক্ষকদের মতামতের প্রতিফলন ঘটাবেন বলে প্রত্যাশা করছি।
চিঠির বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক অভিজ্ঞ, দক্ষ অধ্যাপক রয়েছে। আমরা চাই, সরকার যাকে ইচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে যেকোনো একজনকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে আগামীতে আরও ত্বরান্বিত করবে।
/এমএল/এসএসএইচ/