ঢাবিতে রমজানের আলোচনায় ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের মসজিদে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের রোজার ফজিলত ও তাৎপর্য সম্পর্কে আলোচনা সভায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় বিভাগের ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে জড়িতদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানান ভুক্তভোগী ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী ও আহত তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাফওয়ান বলেন, আমরা রমজান উপলক্ষ্যে একটা আলোচনা করছিলাম জোহরের নামাজের পর। এসময় টাওয়ার কল্যাণ সমিতির সভাপতি এসে আমাদের চলে যেতে বললে আমরা মসজিদ থেকে বের হই। কিন্তু আমরা গেটের বাইরে বের হতেই দেখি তারা আমার এক জুনিয়রকে থাপ্পড় মারছেন। আমি আটকাতে গেলে তারা আমাকেও রাস্তায় ফেলে মারতে থাকেন। সত্যি বলতে আমাকে এতো মেরেছে যে আমি জানতেও পারিনি আমার আশেপাশে আর কে মার খাচ্ছে। আমি কোনো উপায়ে পালিয়ে ঢাকা মেডিকেলের মসজিদে এসে শুয়ে থাকি। তারা আমার মোবাইলও নিয়ে গেছে। তবে আমি কাউকে চিনতে পারিনি।
আইন বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী সুলাইমান বলেন, ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ নামক যে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সেখানে আমারও উপস্থিত থাকার কথা ছিল। আমি উপস্থিত থাকলে হয়ত আজ আমিও মেডিকেলে থাকতাম। এই নৃশংস হামলার বিচার চাই। নিজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই।
২১-২২ সেশনের জাহিদুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, নিজের ক্যাম্পাসে আমি ফোন বা টাকা নিয়ে নিরাপদে ঘুরতে পারছি না। কিছুদিন আগে জগন্নাথ হলের সামনে থেকে আমাদের মোবাইল চুরি হলে প্রক্টর অফিসে যখন যোগাযোগ করি তখন আমাদের বলা হয় ‘তোমরা রাতে ওখানে কী করতে গিয়েছ’? এই হলো আমাদের নিরাপত্তা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেদওয়ান, শুভ্র, তামিম, আজিদা, কাউসার সানভিয়া, নুয়েল প্রমুখ। এসময় ঢাবির আইন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আজ দুপুরে 'প্রোডাক্টিভ রমজান' শীর্ষক রমজানের আলোচনা সভায় অংশ নিতে জোহরের নামাজ আদায়ের পর বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের মসজিদে একত্রিত হয়ে আলোচনা করছিলেন ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু টাওয়ার কল্যাণ সমিতির সভাপতি সিরাজুল হক ও শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল সুজন তাদেরকে বের হয়ে যেতে বললে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে যেতে চাইলে টাওয়ারের গেটের বাইরে তাদের ওপর হামলা করা হয়।
কেএইচ/এসকেডি