শিক্ষকদের বাঁচাতে গিয়ে আহত ঢাবি সাংবাদিক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সহকারী প্রক্টরদের বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য মোতাহার হোসেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সাংবাদিক মোতাহারের বাহুতে বাঁশ দিয়ে কয়েকটি আঘাত করা হয়। পরে তাকে ঢাবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে সারা দেশে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। এ লক্ষ্যে দুপুর দুইটা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন তারা। এ সময় তাদের হাতে নানা রকম লাঠি, স্টাম্প ও জিআই পাইপ দেখা যায়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সহকারী প্রক্টর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন।
হঠাৎ করে একদল শিক্ষার্থী চড়াও হন এবং ছুটাছুটি শুরু করেন। একপর্যায়ে প্রক্টরিয়াল টিম সেখানে উপস্থিত হয় এবং মাইকে বলতে থাকে, কেউ ঢিল ছুঁড়বেন না, স্যাররা সামনে আছেন। এ সময় একদল শিক্ষার্থী তেড়ে এসে বলতে থাকেন, কালকে কোথায় ছিলেন। তখন কেউ কেউ অকথ্য ভাষায় গালিও দেন।
পরে শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন। প্রক্টররা তখনই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ফুটপাতে অবস্থান করেন। সেখানেও শিক্ষার্থীরা ‘দালাল’, ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে সম্বোধন করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে তাদের ওপর হামলা করেন আন্দোলনকারীরা। ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে গেলে পেছন থেকে লাঠি দিয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলা করা হয়। দৌড়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন শিক্ষকরা। এ সময় পেছন থেকে দৌড়ে এসে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে আঘাত করা হয় তাদের। এতে ফুটপাতে লুটিয়ে পড়েন এক অধ্যাপক। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ঢাবি সাংবাদিক মোতাহার হোসেন। তাকেও আঘাত করা হয়। পরে প্রক্টরদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাংবাদিক মোতাহারকে নেওয়া হয় ঢাবি মেডিকেল সেন্টারে।
এ বিষয়ে মোতাহার হোসেন বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে অবস্থানকালে প্রক্টররা পরিদর্শনে যান। কিছু অতি উত্তেজিত আন্দোলনকারীরা তাদের ওপর হামলা করতে আসে। তখন আমি স্যারকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও আঘাত করা হয়।
এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড মাকসুদুর রহমান বলেন, আহতদের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
কেএইচ/কেএ