গণঅনশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ শিক্ষার্থী অসুস্থ

তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চলমান গণঅনশনে আট জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে অনশন চলা অবস্থায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অসুস্থরা হলেন– উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি এ কে এম রাকিব, ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের সোহান প্রামানিক ও আতিকুর রহমান তানজিল, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদ, ফিন্যান্স বিভাগের রাকিব ও দর্শন বিভাগের তৌহিদ, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সোহাগ আহম্মেদ।
এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন জবি উপাচার্য। শিক্ষার্থীদের কাছে কাজের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন তিনি। এরপর শিক্ষার্থীরা ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের আসার দাবি জানান। এসময় উপাচার্যের সঙ্গে বসে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীনও।
আরও পড়ুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিন দাবি হলো– সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে; পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে; যতদিন অবধি আবাসন ব্যবস্থা না হয় ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়ে তাদের অনশন ভাঙার অনুরোধ জানান উপাচার্য। তবে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু আমাদের দাবির সঙ্গে একমত, আমাদের দাবি এখন ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়ের কাছে। তারা আমাদের তাদের অবস্থান জানাক।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, তোমরা যে দাবিদাওয়া করছ, সেই দাবি আমারও। এ ব্যাপারে আজ মন্ত্রণালয়ে চিঠি গেছে। আমরা আজ সারা দিন তোমাদের খোঁজ রেখেছি। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা আমাদের এ আন্দোলনের ফলাফল পাব। দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। আমরা কথা দিচ্ছি, আমরা তোমাদের দাবি অনুযায়ী কাজ করব। ছাত্র প্রতিনিধি নিয়ে আমরা একটা কমিটি গঠন করে সব বিষয় জানাব।
এমএল/এসএসএইচ